বর্তমান সরকারের হাত ধরে দেশ সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ : ২৩ মে ২০২১, ১৭:২৩

সাহস ডেস্ক

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে একটা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে স্বল্পোন্নত দেশে উন্নীত করেছিলেন। আর বর্তমান সরকারের হাত ধরে দেশ সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে।

রবিবার (২৩ মে) মুজিববর্ষ উপলক্ষে ১১০টি বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র, ৩০টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র, ৩০টি জেলা ত্রাণ গুদাম কাম দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তথ্যকেন্দ্র ও ৫টি মুজিবকেল্লার উদ্বোধন এবং ৫০টি মুজিবকেল্লার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী গণভবন প্রান্ত থেকে এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন থেকে যুক্ত হয়ে এটি উদ্বোধন করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে যারা ক্ষমতায় আসে তারা তো ঘুমিয়েই কাটাচ্ছিল। নিজেদের সম্পদ গড়তে ব্যস্ত ছিল। দেশের মানুষকে সম্পূর্ণ অবহেলা করেছে। বিপরীতে আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে মানুষের কল্যাণেই কাজ করেছে।

তিনি বলেন, আজকে আমরা ১২ বছর ক্ষমতায়, এরমধ্যে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ অর্থাৎ যে কথাটা ২০০৮ সালের নির্বাচনে ঘোষণা দিয়েছিলাম রূপকল্প-২০২১, আমরা তা বাস্তবায়ন করে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছি। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, অবকাঠামোর উন্নয়ন করেছি। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। ভূমিহীনদের মাঝে খাসজমি এবং ঘর তৈরি করে দিয়েছি, যাতে কোনও মানুষ গৃহহারা না থাকে। এটা জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল, আমরা সেটাই বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছি এবং করে যাচ্ছি। কাজেই বাংলাদেশের মানুষ গৃহহারা থাকবে না।

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯৬ সালে যখন ক্ষমতায় আসি তখন বলেছিলাম কোনও কুঁড়েঘর থাকবে না, টিনের ঘর দিলেও দেবো, দিয়েছিলাম। এখন সেমিপাকা অথবা দুর্যোগ মোকাবিলায় সহনশীল ঘর তৈরি করে দিচ্ছি; যাতে একটা জায়গা পেলে জীবন রক্ষা পায়। বাংলাদেশ একটা বদ্বীপ, যে কারণে প্রতিনিয়ত প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করতে হয়। আর তাছাড়া বাংলাদেশে মাঝেমাঝেই মনুষ্যসৃষ্ট ‍দুর্যোগ আসে। এসব মোকাবিলা করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্যোগ হ্রাসে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। স্যাটেলাইটের মাধ্যমে যাতে সতর্ক বার্তা পেতে পারি সেই ব্যবস্থা নিয়েছি। দুর্যোগ বার্তা পেতে আরও উন্নত করতে হবে এবং আমাদের দ্বিতীয় স্যাটেলাইট যেটা করবো, সেটা আরও বেশি শক্তিশালী যাতে হয়, সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি দিয়েছি। তাছাড়া নদীভাঙন বা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত যারা হয়, তাদের জন্য বাজেটে আলাদা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। পাশাপাশি বন্যা এলে তাদের যেন আশ্রয় দেওয়া যায়, সে ধরনের বহুমুখী দুর্যোগের জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছি। দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস করা এবং দুর্যোগের সময় যেকোনও অবস্থা যাতে মোকাবিলা করা যায়, সেটা আমরা করছি। পাশাপাশি প্রতিবন্ধীদের নিরাপত্তার দিকে নজর রেখে ভবনগুলো তৈরি করা হচ্ছে।

সরকারপ্রধান বলেন, মুজিবকেল্লা উন্নতমানের করা হয়েছে। সেখানে একদিকে মানুষ যেন আশ্রয় নিতে পারে, আবার গৃহপালিত পশুপাখি- সেগুলো যেন আশ্রয় নিতে পারে তার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত