মুক্তিতে বাধা নেই ইরফান সেলিমের

নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিমকে মারধরের ঘটনায় হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে ইরফান সেলিমের কারামুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী।

বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন

আদালতে ইরফান সেলিমের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ।

পরে অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা বলেন, এই আদেশের ফলে ইরফান সেলিমের কারামুক্তিতে বাধা নেই। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মোট ৫টি মামলা হয়। দুটি মামলার অভিযোগ থেকে তাকে অব্যাহতি দিয়ে পুলিশ ফাইনাল রিপোর্ট  দিয়েছেন। আর বাকি তিনটিতে তিনি জামিন পেলেন।

এর আগে গত ২৭ জানুয়ারি নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিমকে মারধরের ঘটনায় ইরফান সেলিমকে কেন জামিন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের একই বেঞ্চ ওইদিন এ রুল জারি করেন। বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) এই রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি হয়।

২০২০ সালের ২৬ অক্টোবর নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিমকে মারধরের ঘটনায় ইরফান সেলিমসহ চারজনের বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় ‘মারধর ও হত্যাচেষ্টা’ এ মামলা করা হয়।

পুলিশ জানায়, গত ২৫ অক্টোবর সন্ধ্যার পর কলাবাগান ক্রসিংয়ে নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তার মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিয়েছিল 'সংসদ সদস্য' স্টিকার লাগানো হাজী সেলিমের গাড়ি। এরপর নৌবাহিনীর ওই কর্মকর্তা মোটরসাইকেল থামান এবং নিজের পরিচয় দেন। এ সময় গাড়ি থেকে দুইজন ব্যক্তি নেমে লেফটেন্যান্ট ওয়াসিমকে মারধর করেন। এক পর্যায়ে ওই কর্মকর্তা আত্মরক্ষার চেষ্টা করেন। ঘটনাস্থলে জনতার ভিড় জমলে সংসদ সদস্যের গাড়ি ফেলে মারধরকারীরা পালিয়ে যান। পরে পুলিশ এসে গাড়ি ও মোটরসাইকেলটি জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়।

পুলিশ সূত্র মতে, ঘটনার সময় এমপি হাজী সেলিম গাড়িতে ছিলেন না। তার ছেলে ইরফান ও নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন। ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী মিয়া সে সময় বলেন, এ ঘটনায় ‘মারধর ও হত্যাচেষ্টা’ মামলা করা হয়েছে। পরে মামলায় ইরফান সেলিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। নিম্ন আদালতে জামিন চেয়ে ব্যর্থ হয়ে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন ইরফান সেলিম।