নওগাঁয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা দখল করে ভবন নির্মাণ

প্রকাশ : ১৫ মার্চ ২০২১, ১৬:০৪

সাহস ডেস্ক

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার আতাইকুলা পাগলীর মোড় এলাকায় সরকারি এ্যকোয়ারকৃত পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা দখল করে ইটের ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদাসীনতায় এভাবেই দিন দিন ওই এলাকার সরকারি এ্যকোয়ারকৃত জায়গাগুলো দখল হয়ে যাচ্ছে। যেন দেখার কেউ নেই।

সরকারি জায়গা দখল করে ইটের বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন আতাইকুলা গ্রামের প্রবাসী মালেক ও তার বোন ফুরতুন বেগম। এছাড়াও ওই এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা অবৈধভাবে দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে বিভিন্ন দোকানপাটসহ বহুতল ভবন।

জানা গেছে, নওগাঁ ছোট যমুনা নদীর বাঁধের রাণীনগর উপজেলার মিরাট ইউনিয়নের আতাইকুলা পাগলীর মোড় এলাকায় সরকারি এ্যকোয়ারকৃত পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেশ কিছু জায়গা-জমি রয়েছে। বেতগাড়ী ব্রিজের পাশে পাগলীর মোড়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সরকারি জায়গা দখল করে গত কয়েক মাস আগে থেকে গড়ে তোলা হচ্ছে একটি বহুতল ভবন। আতাইকুলা গ্রামের সৌদি প্রবাসী মালেক এবং তার বোন ফুরতুন বেগম প্রায় ৩ শতক পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা দখল করে পাগলীর মোড়ে নির্মাণ করছেন ইটের বহুতল ভবন। বর্তমানে ভবন নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। এছাড়াও ওই এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের সরকারি জায়গা অবৈধ ভাবে দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে বিভিন্ন দোকানপাটসহ বহুতল ভবন।

এদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের উদাসীনতায় ও কিছু অসাধু কর্মচারীদের যোগসাজসে দিন দিন স্থানীয় প্রভাবশালীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা অবৈধ ভাবে দখল করে এভাবেই গড়ে তুলছেন ভবন ও দোকানপাট।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান, যাদের জায়গা-জমি পানি উন্নয়ন বোর্ড সরকাবি ভাবে এ্যকোয়ার করে নিয়েছে তারাসহ স্থানীয় প্রভাবশালীরা এখন অবৈধ ভাবে ওই সরকারি এ্যকোয়ারকৃত পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা-জমি দখল করে ভবন ও দোকানপাট নির্মান করে যাচ্ছে। রহস্যজনক কারণে নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন এগুলো দেখেও দেখে না। দ্রুত এসব অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে সরকারি জায়গা দখল মুক্ত করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন তারা।

এ বিষয়ে দ্রুত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয়রা।

সরকারি জায়গা দখল করে ভবন নির্মাণের বিষয়ে জানতে চাইলে দখলদার প্রবাসী মালেকের বোন ফুরতুন বেগম বলেন, সরকার আমাদের অনেক জায়গা-জমি এ্যকোয়ার করে নিয়েছে। আমার ভাইয়ের বাড়ি করার মতো জায়গা না থাকায় আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে লিজ নিয়ে এবং আমাদের কিছু জায়গাসহ সেখানে আমরা ভবন নির্মাণ করছি।’ তবে লিজ নেয়ার বিষয়ে কোন কাগজপত্র দেখাননি তিনি।

এ ব্যাপারে নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান খাঁন বলেন, ওই এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোনো জায়গা লিজ দেয়া হয়নি। জায়গা দখল করে ভবন নির্মাণের বিষয়টি আমার জানা ছিল না। বিষয়টি শুনলাম। দ্রুত সেখানে লোক পাঠিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা দখলের বিষয়ে সত্যতা পেলে জায়গা উদ্ধারসহ দখলদারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত