কাদের মির্জাকে প্রধান আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের

প্রকাশ | ১৪ মার্চ ২০২১, ১৫:২৬ | আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২১, ১৮:৫৭

অনলাইন ডেস্ক

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে এক সিএনজি চালক নিহতের ঘটনায় কাদের মির্জাকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

রবিবার (১৪ মার্চ) দুপুর ১টায় নোয়াখালীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এইচএম মোছলেউদ্দিন নিজামের আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়।

এই মামলার বাদী নিহত আলাউদ্দিনের ছোট ভাই এমদাদ হোসেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদী এমদাদ হোসেন নিজেই।

শ্রমিকলীগ কর্মী সিএনজিচালক আলা উদ্দিন হত্যা মামলায় কাদের মির্জাকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। দ্বিতীয় আসামি তার ছোট ভাই সাহাদাত হোসেন ও তৃতীয় আসামি কাদের মির্জার ছেলে মির্জা মাশরুর কাদের তাশিকসহ ১৬৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৫০-৬০ জনকে আসামি করে এই মামলা দায়ের করা হয়।

মামলার বাদী মো. এমদাদ হোসেন বলেন, ১১ মার্চ (বৃহস্পতিবার) বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জাকে প্রধান আসামিসহ ১৬৪ জনের বিরুদ্ধে কোম্পানীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলার এজাহার দিয়েছিলাম। কিন্তু প্রধান আসামি মেয়র আবদুল কাদের মির্জার নাম বাদ না দেয়ায় শনিবার বিকেল পর্যন্ত পুলিশ এজাহারটি রেকর্ড করেনি। তাই রোববার আদালতে মামলাটি দায়ের করেছি।

প্রসঙ্গত, সোমবার (৮ মার্চ) বিকালে বসুরহাট রূপালী চত্বরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানের ওপর মেয়র আবদুল কাদের মির্জার অনুসারীদের হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার (৯ মার্চ) বিকাল ৪টায় রূপালী চত্বরে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে আওয়ামী লীগের একাংশ (মিজানুর রহমান বাদল গ্রুপ)। সন্ধ্যা ৬টার দিকে থানার পশ্চিম পাশের সড়ক (মাকসুদা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়) দিয়ে সভায় হামলার চেষ্টা চালায় মির্জার সমর্থকরা। এসময় উভয় পক্ষের সমর্থকরা মুখোমুখি হলে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে এ সংঘর্ষ পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। রাত ৮টার দিকে মেয়র কাদের মির্জার সমর্থকরা বসুরহাট বাজারে একটি মিছিল বের করলে বাদলের সমর্থকদের সঙ্গে পুনরায় সংঘর্ষ হয়। পরে কাদের মির্জার অনুসারীরা বসুরহাট পৌরসভা ভবন ও প্রাঙ্গণে অবস্থান নিলে বাদল গ্রুপের লোকজন ফের হামলা চালায়। এসময় তাদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গুলি বিনিময় শুরু হয়। উভয় পক্ষের গুলিতে ২০ জন আহত হন।