এলডিসি থেকে উত্তরণের সুপারিশপত্র প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দিলেন অর্থমন্ত্রী

প্রকাশ : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৬:৩৮

সাহস ডেস্ক

স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় উত্তরণের জন্য জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করেছে বাংলাদেশ। সেই সুপারিশপত্র প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে গণভবন প্রান্ত থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্ত হয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনটি সঞ্চালনা করেন মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস। এতে অর্থমন্ত্রী ছাড়াও বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ তনয়া শেখ রেহানা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা, আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, বিশিষ্টজন ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

গত ২২-২৬ ফেব্রুয়ারি নিউইয়র্কে জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসির (সিডিপি) বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে এলডিসি স্ট্যাটাস পর্যালোচনা করে বাংলাদেশ, নেপাল ও লাওসকে এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় উত্তরণের সুপারিশ করা হয়।

সাধারণত উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে যেসব দেশ তুলনামূলক দুর্বল, সেসব দেশকে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১৯৭১ সালে প্রথম স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা করা হয়। বাংলাদেশ ১৯৭৫ সালে এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়। সবকিছু ঠিক থাকলে পাঁচ বছর পর এলডিসি থেকে বের হয়ে অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের কাতারে চলে যাবে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় এখন ১ হাজার ৮২৭ মার্কিন ডলার। তবে কোনো দেশ উন্নয়নশীল দেশ হতে হলে জাতিসংঘের মান অনুযায়ী মাথাপিছু আয় ১ হাজার ২৩০ মার্কিন ডলার হতে হবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ এগিয়ে আছে।

অন্যদিকে, মানবসম্পদ সূচকেও এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। মানবসম্পদ সূচকে প্রয়োজন ৬৬ পয়েন্ট। আর বাংলাদেশের রয়েছে ৭৫ দশমিক ৩ পয়েন্ট। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের অগ্রগতি হয়েছে। এসব অগ্রগতি পর্যালোচনা শেষে বাংলাদেশকে এলডিসি থেকে উত্তরণে চূড়ান্ত সুপারিশ করেছে জাতিসংঘ।

২০২১ সালের সিডিপির এ মূল্যায়নে বাংলাদেশের পাশাপাশি লাওস ও মিয়ানমার নির্দিষ্ট মান অর্জন করেছে। কিন্তু মিয়ানমারকে সুপারিশ করেনি সিডিপি। কারণ হিসাবে বলা হয়েছে, সামরিক বাহিনী জরুরি অবস্থা ঘোষণা করায় উন্নয়নে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

এলডিসি থেকে দেশটির বের হওয়ার সুপারিশের বিষয়টি ২০২৪ সাল পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। অন্যদিকে নেপাল ২০১৮ সালেই দ্বিতীয়বারের মতো মান অর্জন করেছিল। কিন্তু ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠে দাঁড়াতে ওই বছর সুপারিশ করা হয়নি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত