জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু

প্রকাশ : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৭:০২

সাহস ডেস্ক

জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিলের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)। ৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত জামুকার ৭২তম সভার কার্যবিবরণী থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

কমিটির প্রধান হিসেবে রয়েছেন জামুকার সদস্য ও সংসদ সদস্য মোশাররফ হোসেন। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন সংসদ সদস্য শাজাহান খান ও মো. রশিদুল আলম। তারাও জামুকার সদস্য।

জামুকা যেসব অপরাধের জন্য জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেগুলো হচ্ছে- সংবিধান লঙ্ঘন, সংবিধানের মূলনীতি বাতিল, বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের মদদ দেওয়া ও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রক্ষা, বিভিন্ন সময় আত্মস্বীকৃত খুনিদের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ, আত্মস্বীকৃত খুনিদের বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে জিয়াউর রহমানের সম্পৃক্ততামূলক বক্তব্য উল্লেখ থাকা, তাদের দেশত্যাগে সহায়তা ও গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন এবং মুক্তিযোদ্ধা হয়েও স্বাধীনতাবিরোধী লোকজন নিয়ে মন্ত্রিসভা গঠন।

কমিটির প্রধান মোশাররফ হোসেন বলেন, জিয়াউর রহমান সরাসরি বঙ্গবন্ধুর খুনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এ ধরনের ব্যক্তি খেতাবধারী থাকবেন, তা তো মেনে নেওয়া যায় না। এ জন্যই তার রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখন শুধু আনুষ্ঠানিকতা।

এর আগে ৯ ফেব্রুয়ারি জামুকার সভায় জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় খেতাব ‘বীর উত্তম’ বাতিল করার সিদ্ধান্ত হয়। একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি শরীফুল হক ডালিম, নূর চৌধুরী, রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেহ উদ্দিনের রাষ্ট্রীয় খেতাবও বাতিলের সুপারিশ করা হয়।

প্রসঙ্গত, সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার জিয়াউর রহমানকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘বীর উত্তম’ খেতাব দেয়।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত