একুশে পদক পেলেন সৈয়দা ইসাবেলা

প্রকাশ : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৫:২৫

সাহস ডেস্ক

অমর একুশে ফ্রেব্রুয়ারি এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ সম্মাননা একুশে পদকে (মরণোত্তর) ভূষিত হয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দা ইসাবেলা।

শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক রাজধানীর ওসামানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ২১ জন বিজয়ীর হাতে এ পদক তুলে দেন। অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

নারী জাগরণ এবং দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অনন্য নাম মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দা ইসাবেলা। কর্মে-কীর্তিতে-গৌরবে নিবেদিতপ্রাণ ব্যক্তিত্ব ছিলেন তিনি। তাঁর সকল কর্মের মূলে ছিল নারীমুক্তির স্বপ্ন। এই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে গিয়েই তিনি একদিকে কলম তুলে নিয়েছিলেন, অন্যদিকে নারীদের নতুন পথের সন্ধান দিয়েছিলেন।

মানবতাবাদী এই মানুষটি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন রৌমারী অঞ্চলে। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের চেতনার প্রবল ধারক এই মানুষটি পঁচাত্তরের পট পরিবর্তনের পরে নানাভাবে হেনস্থার শিকার হলেও দৃঢ়তার সাথে, সততার জোরে উতরে গেছেন। নারী স্বাধীনতার চেতনাকে ধারণ করে আমৃত্যু চেষ্টা করেছেন শিক্ষার মাধ্যমে নারীকে মানুষ হিসেবে আপন মহিমায় বিকশিত করতে। মুক্তিযুদ্ধে নির্যাতিত নারীদের কল্যাণে সবিশেষ ইতিবাচক ভূমিকা ও নানান কর্মকান্ডে মানবিক সমাজসেবক হিসেবে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদানকে কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করতে হয়।

২০১০ সালে সৈয়দা ইসাবেলা একজন রত্মগর্ভা মা হিসেবে পুরস্কৃত হন। ২০২১ সালে নিভৃতচারী আলোকিতজন মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দা ইসাবেলাকে একুশে পদক দিয়ে বাংলাদেশ সরকার তাঁকে সম্মানিত করার সাথে সাথে সম্মানিত করেছে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া সকল নারী মুক্তিযোদ্ধাকেই।

সৈয়দা ইসাবেলা ১৯৪২ সালের ২৪ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১২ জানুয়ারি ২০১৩ সালে মৃত্যু বরণ করেন।

জাতীয় ক্ষেত্রে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২১ জন বিশিষ্ট নাগরিককে এবার একুশে পদক পুরস্কার দেয়া হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দা ইসাবেলা (মরণোত্তর) এর পক্ষে তার পুত্র পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার পুরস্কার গ্রহণ করেন।

পুরস্কার প্রাপ্তদের অনুষ্ঠানে অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী এই পুরস্কার কোন ব্যক্তি বিশেষের জন্য নয় সমগ্র জাতির জন্যই সম্মাননা হিসেবে আখ্যায়িত করেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত