দেশি-বিদেশি নানা ষড়যন্ত্র-অপপ্রচার চলছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৪:৪২

সাহস ডেস্ক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশি-বিদেশি নানা ষড়যন্ত্র-অপপ্রচার চলছে। শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে এগিয়ে যাবে দেশ। ক্ষমতায় থেকে সেনাবাহিনীর আইন ভঙ্গ করে দেশে কথিত নির্বাচন করেছেন বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান।

মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনা ও একাদশ জাতীয় সংসদের একাদশ অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে সংসদ নেতা শেখ হাসিনা একথা বলেন।

তিনি বলেন, বিএনপির নেতারা যত কথাই বলুক তাদের নেতৃত্বের অভাব রয়েছে। তাদের ওপর থেকে মানুষের আস্থা সরে গেছে। আওয়ামী লীগের কাছ থেকে মানুষ সেবা পেয়েছে, দেশের উন্নয়ন হচ্ছে। মানুষের আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করেছে আওয়ামী লীগ। তার প্রতিফলন দেখা গেছে স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে।

রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনা ও শীতকালীন অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে সরকারের নেয়া বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেন, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়াই সরকারে প্রধান লক্ষ্য।

শেখ হাসিনা তার বক্তব্যে প্রশ্ন রাখেন, যাদের গায়ে দুর্নীতির ছাপ, যারা দুর্নীতিতে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন, দুর্নীতি-গ্রেনেড হামলা মামলায় যাদের সাজা হয়, কোনো দলের নেতৃত্বে থাকলে তারা জনগণের জন্য কাজ করবে কীভাবে? স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে ছোটখাটো ঘটনা ছাড়া ভালো ভোট হয়েছে। মানুষ ভোট দিতে পারেছে।

বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যাদের গায়ে হাজার কালির ছিটা, তারা আবার এত বড় কথা বলে কোন মুখে? সামরিক আমলে জনগণের ভোট দেওয়ার অধিকার ছিল না। যেটা মিলিটারি শাসকেরা ঠিক করে দিত, সেটাই হতো। রেজাল্টও পরিবর্তন করা হতো। অতীতে ভোট চুরির অপরাধে সরকারপ্রধানকে পদত্যাগও করতে হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১০টা গুন্ডা, ২০টা হোন্ডা, নির্বাচন ঠান্ডা, সে পদ্ধতি এখন আর নেই। ইভিএমে ভোট কারচুপির সুযোগ নেই। নিজস্ব অর্থায়নে সরকার পদ্মা সেতু করেছে। প্রশংসাতো করলোই না, খালেদা জিয়া বলেছিলেন, জোড়াতালির পদ্মা সেতুতে কেউ উঠবেন না। সেতুতে না উঠে নৌপথে যেতে হলে নৌকাতেই উঠতে হবে। উপায় নাই, নৌকাতেই চড়তে হবে। আমাদের নৌকা অনেক বড়। সবাইকে নেব। কিন্তু, বেছে নেব। কেউ যেন আবার নৌকায় উঠে নৌকা ফুটো করতে না পারে।

নানা ইস্যুতে বিএনপি-জামায়াত জোটের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি যখন একটা দলের নেতা, স্বাভাবিকভাবে তাদের ওপর মানুষের আস্থা থাকে না, বিশ্বাস থাকে না। মানুষ এখন আওয়ামী লীগের কাছ থেকে সেবা পাচ্ছে দেশের উন্নয়ন হচ্ছে দেশের মানুষের কল্যাণ হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবে মানুষের আস্থা বিশ্বাস আওয়ামী লীগ অর্জন করেছে। যার প্রতিফলন দেখলাম স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলিতে। মানুষ এখন আন্তরিকভাবে ভোট দিচ্ছে। বর্তমান সরকারের আমলে আগ্রহ নিয়ে ভোট দিচ্ছে সাধারণ মানুষ।

দেশের বিভিন্ন সেক্টরের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১২ বছর সরকার একটানা ক্ষমতায় থাকায় উন্নয়নকাজ দৃশ্যমান হয়েছে। এক সময় ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে বাংলাদেশ চলত। একেকটা দলের একেকটা নীতি আছে। বিএনপি বলেছিল খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া ভালো না। বিদেশ থেকে সাহায্য পাওয়া যাবে না। অনেক প্রশ্ন তারা করেন, সমালোচনা করেন। আয়নায় মনে হয় ভালো করে চেহারা দেখেন না। আয়না দেখেন নিশ্চয় সেটা মেকআপের জন্য, কিন্তু নিজেদের কাজগুলো দেখেন না।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের মহাসচিবসহ বিশ্ববাসী বাংলাদেশের প্রসংশা করেছে। শুধু দেশের ভেতরে প্রশংসা নেই। বিএনপির জন্মগত স্বভাব গুজব রটানো। তারা সেটা করুক, সরকার কাজ করে যাবে। কথা বলুক, কথা পেটে থাকলে পেট গুড়গুড় করবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত