উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই ৩০ জানুয়ারি

প্রকাশ : ০৬ জানুয়ারি ২০২১, ১৬:১০

সাহস ডেস্ক

উপজেলা পর্যায়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই ও শুনানির কার্যক্রম ৯ জানুয়ারির পরিবর্তে আগামী ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। বিস্তারিত তথ্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট (www.molwa.gov.bd) এবং জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে (www.jamuka.gov.bd) পাওয়া যাবে।

বুধবার (৬ জানুয়ারি) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক  মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন-২০০২ এর ধারা ৭(ঝ) ব্যত্যয় ঘটিয়ে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) সুপারিশবিহীন শুধু 

জামুকার ৭১তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বেসামরিক গেজেট নিয়মিতকরণের লক্ষ্যে যাচাইযোগ্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ওইদিন সকাল ১০টায় নিজ নিজ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে/ মহানগরের ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সাক্ষ্য এবং তথ্য-উপাত্তসহ উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।

এ ধরনের গেজেটভুক্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে কমপক্ষে তিনজন ভারতীয়/লাল মুক্তিবার্তা তালিকাভুক্ত সহযোদ্ধা/সহপ্রশিক্ষণ গ্রহীতা সাক্ষী ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে।

কোনো ব্যক্তি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে থাকলে তিনি কোন যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন, তা তিনজন ভারতীয়/লাল মুক্তিবার্তা তালিকাভুক্ত বীর সহমুক্তিযোদ্ধার মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে। ভারতীয়/লাল মুক্তিবার্তা তালিকাভুক্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উপস্থিতিতে এ যাচাই বাছাই কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।

এর আগে গত ৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) ৭১তম সভায় এ যাচাই-বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

প্রথমে ঘোষিত তারিখ অনুযায়ী জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন, ২০০২ এর ধারা ৭(ঝ) ব্যত্যয় ঘটিয়ে জামুকার অনুমোদন ব্যতীত যেসব বেসামরিক গেজেট প্রকাশিত হয়েছে, প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রকাশের অংশ হিসেবে সেসব বেসামরিক গেজেট গত ১৯ ডিসেম্বর যাচাই-বাছাই করার কথা ছিল। পরে তা পরিবর্তন করে ৯ জানুয়ারি করা হয়। সর্বশেষ আবারও তা পিছিয়ে ৩০ জানুয়ারি করা হলো।

উল্লেখ্য, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন, ২০০২ এর ৭(ঝ) ধারা অনুযায়ী ‘প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রণয়ণ’ পূর্বক সরকারের কাছে সুপারিশ করার এখতিয়ার এ কাউন্সিলের উপর ন্যস্ত রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত