লক্ষ্য স্থির থাকলে এগিয়ে যাওয়া সহজ

প্রকাশ : ২৬ নভেম্বর ২০২০, ১৭:২৮

সাহস ডেস্ক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘একটা লক্ষ্য স্থির থাকলে এগিয়ে যাওয়া সহজ হয়। আমরা ক্ষমতায় আসার পর আশু করণীয় কী, মধ্যমেয়াদি, সুদূরপ্রসারী সব পরিকল্পনা করে দিয়েছি। ২০১৩ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য স্থির করেছি। ২১০০ সালের মধ্যে দেশ কেমন হবে তার পরিকল্পনা করেছি। সেই লক্ষ্যে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।’

আজ বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারদের ১১৬, ১১৭, ১১৮তম আইন ও প্রশাসন কোর্সের সমাপনী ও সনদ প্রদান অনুষ্ঠান প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে তিনি বিসিএস প্রশাসন অ্যাকাডেমিতে যুক্ত হন। ১১৬ জন প্রশিক্ষণার্থী এই প্রশিক্ষণে অংশ নেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে দেশ স্বাধীন হয়। একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের দায়িত্ব নেন জাতির পিতা। মাত্র সাড়ে তিন বছর দায়িত্বে ছিলেন। তিনি দেশ পুনর্গঠনের কাজ শুরু করেছিলেন। কিন্তু ‘৭৫-এ সপরিবারে তাকে হত্যা করা হয়। তাকে হত্যার মধ্য দিয়ে পিছিয়ে যায় বাংলাদেশ।’ বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘জাতির জনক দেশের পুরো ব্যবস্থাটাকে ঢেলে সাজানোর পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। এটা বাস্তবায়িত হলে ১০ বছরের দেশ মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে উঠতো।’

পাকিস্তানের ডন পত্রিকার বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ‘১৯৫৬ সালে বাঙালিরা কী অবস্থানে ছিল? পাকিস্তানিদের চোখে বাঙালিরা নাকি যোগ্যই ছিল না। প্রশাসন ও সামরিক বাহিনীতে উচ্চপদে বাঙালিরা ছিল না। বাঙালিরা কোনও কাজেই যোগ্য না, পাকিস্তানিরা এই ভাবটা দেখাতো। আইন ও প্রশাসনের ক্ষেত্রে কোনও নারী ছিল না।’ তিনি বলেন, আইন ও প্রশাসনের ক্ষেত্রে যেন আমাদের মেয়েরা ঢুকতে পারে সেজন্য জাতির পিতা আইন করে দিয়েছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৭৫-এর ২১ বছর পর আমরা সরকার গঠন করি। আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি নেই। প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নয়ন করি। বাংলাদেশটাকে উন্নত করার চেষ্টা করছি। ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত করেছি। করোনার মধ্যেও উন্নয়নের ধারাটাও এ কারণে অব্যাহত রাখতে পারছি।’
গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী

তিনি বলেন, ‘এ দেশের মানুষের ভাগ্যটা কীভাবে পরিবর্তন করবেন বঙ্গবন্ধুর চিন্তা সেটাই ছিল। আমরা বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে এগিয়ে চলেছি। বাংলাদেশের জন্য আমরা দীর্ঘ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘২০১৫ সালে শতভাগ বেতন বৃদ্ধি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা করে দিয়েছি। সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য আমরা যত সুবিধা করে দিয়েছি তা আর কেউ করেনি। আপনারা কোনও মানুষকে অবহেলার চোখে দেখবেন না। মানুষ যাতে ন্যায়বিচার পায় তা দেখতে হবে। বিভিন্ন সমস্যা, যেমন- ধর্ষণ, নারী নির্যাতন, মাদক, দুর্নীতি এসবের বিরুদ্ধে কাজ করতে হবে। করোনার কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে, অন্যদের মেনে চলায় সচেতন করতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনার দ্বিতীয় পর্যায় কীরকম হবে আমরা জানি না। তাই সব রকম প্রস্তুতি নিতে হবে, সচেতন হতে হবে। এর জন্য যা যা করা দরকার তার সবকিছুর নির্দেশনা দিয়েছি।’

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত