বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ : ১৮ অক্টোবর ২০২০, ১৫:৪৫

সাহস ডেস্ক

সন্তানদের লেখাপড়ার দিকে মনোযোগ দেওয়ার পাশাপাশি তারা যেন একটু খেলাধুলা বা শরীর চর্চার বেবস্থা করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, করোনাভাইরাস মহামারির সময় শিশুদের স্বাভাবিক বিকাশে অভিভাবকদের ভূমিকা নিতে হবে। শিশুদের স্বাভাবিক বিকাশে নজর দিন।

রবিবার (১৮ অক্টোবর) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে শহীদ শেখ রাসেলের ৫৭তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের শিশুরা দেশপ্রেমিক হবে, মানুষের মতো মানুষ হবে, মানুষের সেবা করবে এবং নিজেদের উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলবে, আধুনিক শিক্ষায় সুশিক্ষিত হবে। আমি জানি, করোনাভাইরাসের কারণে স্কুল বন্ধ। এটা সত্যিই যেকোনও শিশুর জন্য খুব কষ্টকর। তবুও আমি তাদের বলবো, মনোযোগ দিয়ে লেখাপড়া করতে হবে। তারা ছবি আঁকবে, খেলাধুলা করবে। এভাবে তাদের ব্যস্ত রাখতে হবে, যেন স্কুল খুললে আবার ভালোভাবে স্কুলে যেতে পারে, পড়াশোনা করতে পারে, সহজে মানিয়ে নিতে পারে।

তিনি বলেন, করোনাভাইরাস মহামারি থেকে বাংলাদেশসহ পুরো বিশ্ববাসী যেন মুক্ত হতে পারে সেই দোয়া চাই, পাশাপাশি সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। বেশি লোক থাকলে আমি সব সময় মাস্ক পরে থাকি। সবাইকে বলবো, যেখানেই বেশি লোকসমাগম সেখানে সবাইকে মাস্ক পরে থাকতে হবে এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা সবাইকে মেনে চলতে হবে, শরীরের প্রতি যত্ন নিতে হবে।

তিনি বলেন, রাসেল আজ আমাদের মাঝে নেই। এই স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা যুগ যুগ ধরে যারা পড়াশোনা করবে, অন্তত তারা এইটুকু জানবে, একটা ছোট শিশু ছিল এই স্কুলে, কিন্তু সেই শিশুটাকে বাঁচতে দেওয়া হয়নি। তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। এই ধরনের ঘটনা আর না ঘটুক, সেটাই আমরা চাই।

শেখ রাসেল শিশু-কিশোর পরিষদের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এটা করার একটা উদ্দেশ্যই ছিল যে এদেশের শিশুদের সঠিকভাবে গড়ে তোলা। দেশপ্রেমিক করা, দেশের সেবা করার মনোভাব যেন তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে। তারা যেন সুনাগরিক হয়ে গড়ে ওঠে, সেদিকে চিন্তা করেই এই সংগঠনটা তৈরি করা হয়েছিল। আজকে সারা দেশব্যাপী এই সংগঠনের অনেক ছেলেমেয়ে নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছেন। অনেকে জীবনে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছেন। অনেকে রাজনীতিতেও যথেষ্ট অবদান রেখে যাচ্ছেন। সেই ছোট্ট শিশু থেকে তারা এখন অনেকেই বড় হয়েছেন। অনেকেই বিভিন্ন কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন।

সরকার প্রধান বলেন, আমার একটাই লক্ষ্য যে, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এই দেশ স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন। ৩০ লাখ শহীদ রক্ত দিয়েছে। দুই লাখ মা-বোন যে অবদান রেখেছে, সেকথা আমাদের সব সময় মনে রাখতে হবে। অনেক রক্তের মধ্য দিয়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। এই স্বাধীনতার সুফল প্রত্যেক মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছাবে।

তিনি আরও বলেন, আমি কবি সুকান্তের ভাষায় এটিই বলতে চাই, এই বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার অঙ্গীকার।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত