ক্ষুধামুক্তির লড়াইয়ে বড় অগ্রগতি বাংলাদেশের

প্রকাশ : ১৭ অক্টোবর ২০২০, ১২:৪৬

সাহস ডেস্ক

অপুষ্টির হার কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে ধারাবাহিক উন্নতি অব্যাহত থাকায় ক্ষুধামুক্তির লড়াইয়ে গত একবছরে বড় অগ্রগতি হয়েছে বাংলাদেশের। কেবল সূচকের অবস্থানে অগ্রগতি নয়, যে চার মাপকাঠিতে বিচার করে গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স (জিএইচআই) করা হয়, তার সবগুলোতেই গতবারের তুলনায় বাংলাদেশ এগিয়েছে।

শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট চলতি বছরের যে “বিশ্ব ক্ষুধা সূচক” প্রকাশ করেছে, তাতে ১০৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ উঠে এসেছে ৭৫তম অবস্থানে।

গতবছর এই সূচকে ১১৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৮৮তম। তার আগের তিনবছর বাংলাদেশের অবস্থান ছিল যথাক্রমে ৮৬, ৮৮ ও ৯০ নম্বরে।

অপুষ্টির হার, ৫ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে উচ্চতার তুলনায় কম ওজনের শিশুর হার, ৫ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে কম উচ্চতার শিশুর হার, ৫ বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যুর হার- এই চারটি মাপকাঠিতে প্রতিটি দেশের পরিস্থিতি বিচার করে তৈরি হয় জিএইচআই।

প্রতিটি দেশের স্কোর হিসাব করা হয়েছে ১০০ পয়েন্টের ভিত্তিতে। সূচকে সবচেয়ে ভালো স্কোর হল শূন্য। স্কোর বাড়লে বুঝতে হবে, ক্ষুধার রাজ্যে সেই দেশের পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। আর স্কোর কমা মানে, সেই দেশের খাদ্য ও পুষ্টি পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে।     

ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট বলছে, গত একবছরে বাংলাদেশ স্কোরের দিক দিয়েও এক ধাক্কায় অনেকটা উন্নতি করতে পেরেছে। মোট স্কোর গতবারের ২৫.৮ থেকে কমে হয়েছে ২০.৪। আর এরফলেই সার্বিক সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান এক লাফে ১৩ ধাপ এগিয়ে এসেছে।

জিএইচআই: বাংলাদেশের স্কোর

সাল ১৯৯০ ১৯৯৫ ২০০০ ২০০৫ ২০১০ ২০১৫ ২০১৬ ২০১৭ ২০১৮ ২০১৯ ২০২০
স্কোর ৫২.২ ৫০.৩ ৩৬.১ ৩০.৭ ৩০.৩ ২৭.৩ ২৭.১ ২৬.৫ ২৬.১ ২৫.৮ ২০.৪

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার নির্ধারিত সংজ্ঞা অনুযায়ী, একটি শিশুর প্রতিদিনের গ্রহণ করা খাদ্যের পুষ্টিমান গড়ে ১৮০০ কিলোক্যালরির কম হলে বিষয়টিকে ক্ষুধা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

ক্ষুধা সূচক বলছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ১৩% অপুষ্টির শিকার; পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের ৯.৮%র উচ্চতার তুলনায় ওজন কম; ওই বয়সী শিশুদের ২৮% শিশুর উচ্চতা বয়সের অনুপাতে কম এবং পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যুর হার ৩%।

গতবছর এই চার ক্ষেত্রে হার ছিল যথাক্রমে ১৪.৭%, ১৪.৪%, ৩৬.২% ও ৩.২%।

এই সূচকে প্রতিবেশী দেশ ভারত, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে আছে গত কয়েক বছর ধরেই। তবে নেপাল ও শ্রীলঙ্কার চেয়ে পিছিয়ে আছে এখনও।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত