ভিপি নুরুল ও কামাল হোসেনরা দেশের শত্রু: ছাত্রলীগ সভাপতি

প্রকাশ : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৭:৫২

সাহস ডেস্ক

ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে নুরুলদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান বলেছেন, ভিপি নুরুল ও কামাল হোসেনরা দেশের শত্রু। এই দেশের শত্রুদের দেশে থাকার দরকার নেই। ধর্ষণ করবে আর কামাল হোসেনরা বলবে যে আইনি সহায়তা দেব- এ ধরনের সহায়তা যারা দেয়, তাদের বয়কট করতে হবে।

রবিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ধর্ষণ, নিপীড়ন ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের সঙ্গে সম্পৃক্ত অপরাধীদের এবং সিলেটের এমসি কলেজ, খাগড়াছড়ি ও সাভারে ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত সবার গ্রেপ্তার ও বিচার নিশ্চিতের দাবিতে' বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এই দাবি জানান ছাত্রলীগ সভাপতি।

ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান বলেন, আইনের ছাত্র হিসেবে এতে আমি লজ্জিত। এ ধরনের নেতারা একসময় নাকি বাংলাদেশকে স্বীকার করত। কিন্তু আমরা তা বিশ্বাস করি না, কারণ তারা সব সময় পাকিস্তানের এজেন্ট হিসেবেই ছিল। আজকে এগুলো দৃশ্যমান। বঙ্গবন্ধুকে নিয়েও তারা কথা বলে।

আল নাহিয়ান খান বলেন, নুরুলেরা শিবিরকে নিয়ে ছাত্র অধিকার পরিষদ করেছে। কিসের ছাত্র অধিকার পরিষদ, এখন তো দেখছি তারা ধর্ষণ অধিকার পরিষদ খুলে বসেছে।

তিনি আরও বলেন, ধর্ষণও করেছে, আবার এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বিক্ষোভও করে- কত বড় স্পর্ধা ওদের! ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা কিন্তু বসে নেই। কে কী বলল, এটা দেখার সময় আমাদের নেই। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা দিন–রাত পরিশ্রম করছে বলেই আজকে মানুষ ঘুমাতে পারছে, এই স্বাধীনতাবিরোধীরা মাঠে নামতে ভয় পায়। বিএনপি-জামায়াতের সরকার হলে বুঝতেন, পথে পথে জঙ্গি হামলা হতো, বাসায় গিয়ে হত্যা করত।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশের নারী সমাজের প্রতি কটাক্ষ করা বা খারাপ চোখে তাকানোর মতো একটি কর্মীও ছাত্রলীগে নেই। এমসি কলেজ প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতৃত্বেই ধর্ষণের প্রতিবাদে প্রথম আন্দোলন হয়েছে, এই ঘটনার বিচারের জন্য সিলেটে ছাত্রলীগ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। যারা আন্দোলন করছে, তারাই ছাত্রলীগের কর্মী; যারা ধর্ষণ করে, তারা ছাত্রলীগের কেউ নয়। ছাত্রলীগ আছে বলেই স্বাধীনতাবিরোধীরা গলা উঁচু করে কথা বলতে পারে না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস বলেন, আমি হতবাক! পরপর কীভাবে ধর্ষণগুলো ঘটে? আমার তো ধারণা হয়, নুরুলেরা বাঁচার তাগিদে পরিকল্পনামাফিক ধর্ষণের ঘটনা ঘটিয়ে ছাত্রলীগকে দায়ী করতে চায়। পাগল ও বিকারগ্রস্ত ভিপি নুরুল, আপনাকে বলতে চাই, বোনদের সহানুভূতি নিয়েই আপনি ডাকসুর ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন, এটি যদি মনে রাখতেন, তাহলে সবার আগে আপনিই এই বোনটির পাশে দাঁড়াতেন। আপনি বিভিন্ন জায়গায় বলে বেড়াচ্ছেন, আমি নাকি আপনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত। আমি বলতে চাই, এটি কোনো ষড়যন্ত্র নয়, এই বোনটির পক্ষে মামলা করতে পারলে আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করতাম।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত