৫৪ হাজার রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে না সৌদি

প্রকাশ | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৭:১৮ | আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৯:১৪

অনলাইন ডেস্ক

সৌদি আরবে কয়েক দশক ধরে বসবাস করা ৫৪ হাজার রোহিঙ্গাকে দেশটি ফেরত পাঠাবে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।

শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ শেষে তিনি একথা জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সৌদি সরকার আমাদের বলেছে যে যদি আমরা পাসপোর্ট দেই তাহলে তাদের উপকার হবে। কারণ তারা রাষ্ট্রহীন মানুষ রাখে না।

তিনি জানান, সৌদি আরবের অনুরোধের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর মানে এই নয় যে সৌদি সরকার তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অনেক বছর আগে, প্রায় ৩৯ থেকে ৪০ বছর, তখনকার সৌদি কর্তৃপক্ষ দুর্দশা দেখে রোহিঙ্গাদের নিয়ে গিয়েছিল। তাদের কোনো পাসপোর্ট ছিল না এবং তারা আরবিতে কথা বলেন।

এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ. কে. আব্দুল মোমেন বলেছিলেন, সৌদি আরব বলেছে যে তাদের দেশে স্টেটলেস লোক তারা রাখে না। তাদের দেশে থাকা ৫৪,০০০ রোহিঙ্গার কোন পাসপোর্ট নাই। তারা বলেছে, তোমাদের বাংলাদেশ থেকেতো রোহিঙ্গা অনেকে এখানে এসেছে, সুতরাং তোমরা যদি এদের পাসপোর্ট ইস্যু করো।

তিনি আরও বলেন, আমরা বলেছি যে, ওদের যদি আগে কখনও বাংলাদেশের পাসপোর্ট থাকে কিংবা যদি কোন প্রমাণ দেখাতে পারে, তাহলে আমরা অবশ্যই তাদের পাসপোর্ট ইস্যু করবো। অন্যথায় আমরা কিভাবে করি? তখন তারা বলেছে, পাসপোর্ট ইস্যুর অর্থ এই নয় যে আমরা তাদের তোমাদের দেশে বিতাড়িত করবো। তারা বলেছে, যেহেতু স্টেটলেস লোক সৌদি আরবে রাখা হয় না, সেজন্য পাসপোর্ট দিতে বলছি। যাদের বাংলাদেশের কোন ডকুমেন্ট নাই, তাদের আমরা পাসপোর্ট দেবো কেন? আমরা তাদের বলেছি, তোমরা মিয়ানমারের সাথে এটা নিয়ে কথা বলো। তো, এনিয়ে আলোচনা চলছে।

তিনি জানান, ১৯৭৭ সালে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে নির্যাতিত হচ্ছিল, তখন তৎকালীণ সৌদি বাদশাহ ঘোষণা করলেন যে, তিনি রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেবেন। তাই অনেক রোহিঙ্গা সৌদি আরবে যায়। এরা ৩০ বা ৪০ বছর ধরে ঐ দেশে আছে। ওদের ছেলে মেয়ের সেখানে জন্ম হয়েছে। কিন্তু ওদের কোন পাসপোর্ট নাই।

মি: মোমেন জানান এর আগে ৪৬২ জন রোহিঙ্গাকে যারা সৌদি আরবে জেলে আছে, তাদের বাংলাদেশে আনার জন্য বলেছিল। সেখানে বাংলাদেশের দূতাবাসের কর্মকর্তারা যাচাই করে দেখেছেন যে জেলে থাকাদের মধ্যে ৭০ বা ৮০ জনের মনে হয় বাংলাদেশের পাসপোর্ট ছিল। বাকিদের ব্যাপারে আমরা কিছু জানি না। যাদের বাংলাদেশের পাসপোর্ট ছিল, আমরা তাদের ট্রাভেল ডকুমেন্ট দিয়ে নিয়ে আসবো। কিন্তু যাদের নাই, তাদের আমরা আনবো কেন?।