সরকার প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে আস্থার সম্পর্ক গড়ে তুলেছে: কাদের

প্রকাশ | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৮:২৬ | আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৪:০৩

অনলাইন ডেস্ক

শেখ হাসিনা সরকার কূটনৈতিক দক্ষতা দিয়ে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে বৈরিতার বিপরীতে আস্থার সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ভারত-বাংলাদেশ পারস্পরিক উন্নয়ন এগিয়ে নিতে দুই দেশ একে অপরের সহায়ক, তারই ধারাবাহিকতায় ভারতীয় ঋণ কর্মসূচির আওতায় যৌথভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প।

রবিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে ভারতীয় ঋণ কর্মসূচির আওতায় বাস্তবায়নাধীন প্রকল্প এবং অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন।

এ সময় অনলাইন প্ল্যাটফর্মে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের বিদায়ী  হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাস, সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব নজরুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

কাদের বলেন, বিএনপি দাবি করেছে, সরকার নাকি করোনা রোগীদের পরিসংখ্যানে ৮২ হাজার রোগীর নাম বাদ দিয়েছে। আপনারা এই বাদ দেওয়া ৮২ হাজারের তালিকা দিন। চিরাচরিত মিথ্যাচার বিএনপির নিজস্ব রাজনৈতিক সংস্কৃতি। অন্ধকারে ঢিল ছুঁড়ে কারো লাভ নেই।

ওবায়দুল কাদের বলেন, হত্যা, ষড়যন্ত্র এবং সন্ত্রাসনির্ভরতা বিএনপির রাজনৈতিক ঐতিহ্য। সামনে কোনো ইস্যু পাচ্ছে না মিথ্যাচারের, তাই নিয়ে নন ইস্যুকে তারা ইস্যু বানানোর অপপ্রয়াস চালায়।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও সৌদি সরকারের যৌথ অর্থায়নে প্রায় ৬০০ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মিত হচ্ছে। প্রায় সোয়া এক কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুর সঙ্গে দুই কিলোমিটারের বেশি দীর্ঘ সংযোগ সড়ক নির্মাণ হবে। সৌদি ফান্ডের অর্থ ছাড়ে বিলম্বসহ করোনা মহামারি এবং অন্যান্য কারণে প্রকল্পটির ধীরগতি রয়েছে। আশা করবো শম্বুক গতিতে পেয়ে বসা এ সেতুর নির্মাণকাজ এখন গতি পাবে।

মন্ত্রী বলেন, আমার কাছে অভিযোগ রয়েছে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অধিকাংশই ঢাকায় অফিস করেন। সেতু নির্মিত হচ্ছে নারায়ণগঞ্জে, আর প্রকল্পের অফিস কেন ঢাকায়? এটিও প্রকল্প বাস্তবায়নে বিলম্বিত হওয়ার একটি কারণ। আমি আগেও বলেছি আজও বলছি। প্রকল্প এলাকায় অফিস থাকবে, ঢাকায় নয়।