বিস্ফোরণের ঘটনায় দোষীদের চিহ্নিত করে প্রতিবেদন দেবে সিআইডি

প্রকাশ : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৬:৩৬

সাহস ডেস্ক

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকায় বাইতুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলার তদন্তভার এখন সিআইডির হাতে। মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় দোষীদের চিহ্নিত করে প্রতিবেদন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সিআইডির ডিআইজি মাইনুল হাসান।

শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে তার নেতৃত্বে সিআইডির একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

এ সময় ডিআইজির সঙ্গে ছিলেন সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) টিএম মোশাররফ হোসেনসহ পুলিশ ও সিআইডির কর্মকর্তারা।

মামলাটি পেশাগত সর্বোচ্চ দক্ষতা দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে জানিয়ে সিআইডির ডিআইজি মাইনুল হাসান বলেন, মসজিদে যে ঘটনাটি ঘটেছে, তা অত্যন্ত মর্মান্তিক। এ ঘটনায় ৩১ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এ ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় পুলিশ মামলা করেছে। মামলাটি তদন্তের জন্য সিআইডির ওপর দায়িত্ব পড়েছে। আমরা সর্বোচ্চ পেশাদারি ও দক্ষতা দিয়ে মামলার তদন্তকাজ দ্রুত শেষ করব। সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে যাদের দোষ পাওয়া যাবে, তাদের প্রত্যেককে অভিযুক্ত করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

তিনি বলেন, গ্যাস পাইপলাইনের লিকেজ থেকে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। মসজিদে দুটি বিদ্যুতের লাইন ছিল। তার মধ্যে একটি বৈধ এবং একটি অবৈধ। এই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হবে। এছাড়া মসজিদটি যেখানে নির্মাণ করা হয়, সেখানে কোনও ত্রুটি আছে কিনা সেটিও খতিয়ে দেখা হবে। এ ঘটনায় গঠিত পাঁচটি সংস্থার তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পর্যবেক্ষণ করে সিআইডি চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করবে।

আলামত পাওয়া গেছে কি-না জানতে চাইলে ডিআইজি মাঈনুল হাসান বলেন, ফায়ার সার্ভিস, তিতাস গ্যাসসহ আমাদের নিজস্ব ফরেনসিক আছে যাদের, তাদের তত্ত্বাবধানে আলামত সংগ্রহ করা হচ্ছে। স্থানীয় লোকজনের সাক্ষ্যগ্রহণ, আলামত যেগুলো আছে সেগুলো ফরেনসিক বিভাগে পরীক্ষা করা হবে। সবকিছু মিলিয়ে যে ধরনের তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যাবে, সেগুলো নিয়ে তদন্তকাজ সম্পন্ন করব আমরা।

গত ৪ সেপ্টেম্বর এশার নামাজ চলাকালে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার পশ্চিম তল্লা এলাকায় বাইতুস সালাত জামে মসজিদে ছয়টি এসি বিস্ফোরিত হয়। এই দুর্ঘটনায় দগ্ধ ৩৭ জনকে ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হলে এ পর্যন্ত ৩১ জনের মৃত্যু হয়।

দগ্ধ অবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঁচজন চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস, জেলা প্রশাসন, তিতাস গ্যাস, ডিপিডিসি ও সিটি করপোরেশন পৃথক পাঁচটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। বিস্ফোরণের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করে। মামলাটি তদন্তের জন্য গত বৃহস্পতিবার সিআইডির কাছে হস্তান্তর করা হয়।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত