১০ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে সাহেদ
প্রকাশ | ২৬ জুলাই ২০২০, ১২:৫৭
রিজেন্ট হাসপাতাল ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদকে ১০ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হয়েছে। হাজতখানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক শহিদুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।
রবিবার (২৬ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টার পর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয় তাকে। এরপর তাকে আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়।
শহিদুল ইসলাম বলেন, সকাল সাড়ে ৯টার পর উত্তরা পশ্চিম থানার মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড শেষে সাহেদকে আদালতে নিয়ে আসা হয়েছে। এখন তিনি আদালতের হাজতখানায় রয়েছেন।
এর আগে ১৬ জুলাই উত্তরা পশ্চিম থানার মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, তিন মামলায় সাহেদের আরও ৩০ দিনের রিমান্ড চাইবে র্যাব।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) সকালে ডিবির যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম জানান, রিজেন্টের প্রতারণার মামলাটি ডিবি তদন্ত করছে। মামলার প্রধান আসামি রিজেন্টের চেয়ারম্যান সাহেদ বর্তমানে ডিবি হেফাজতে রয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকালে তাকে আদালতে পাঠানো হবে। সাহেদকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করা হবে।
এর আগে বুধবার (১৫ জুলাই) ভোর ৫টা ১০ মিনিটে সাতক্ষীরার দেবহাটা থানার কামালপুর গ্রামে লবঙ্গবতী খালের পাশে ইছামতী নদী থেকে র্যাবের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে সাহেদকে। পলাতক অবস্থায় বেশভূষা পরিবর্তন করেন তিনি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের চোখ ফাঁকি দিতে তার চুল সাদা থাকলেও কালো কন এবং গোঁফ কেটে ফেলেন। এরপর বোরকা পরে পালানোর চোষ্টা করেছিলেন। তার কাছ একটি একটি বিদেশি পিস্তলও উদ্দার করেছে র্যাব।
প্রসঙ্গত, লাইসেন্সের মেয়াদ না থাকা, ভুয়া করোনা টেস্ট ও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহভাজনদের নমুনা নিয়ে তা পরীক্ষা না করাসহ বিভিন্ন অপরাধের দায়ে রাজধানীর রিজেন্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে মামলা করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। মামলায় রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদসহ ১৭ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- হাসপাতালের অ্যাডমিন অফিসার আহসান হাবীব (৪৫), এক্সরে টেকনিশিয়ান হাসান (৪৯), মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট হাকিম আলী (২৫), রিসিপশনিস্ট কামরুল ইসলাম (৩৫), রিজেন্ট গ্রুপের প্রজেক্ট অ্যাডমিন রাকিবুল ইসলাম (৩৯), রিজেন্ট গ্রুপের এইচআর অ্যাডমিন অমিত অনিক (৩৩), গাড়িচালক আব্দুস সালাম (২৫), এক্সিকিউটিভ অফিসার আব্দুর রশীদ খান জুয়েল (২৮),ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাসুদ পারভেজ (৪০), হাসপাতাল কর্মচারী তরিকুল ইসলাম (৩৩), স্টাফ আব্দুর রশিদ খান (২৯), স্টাফ শিমুল পারভেজ (২৫), কর্মচারী দীপায়ন বসু (৩২) ও মাহবুব (৩৮)। অপর দু'জনের নাম জানা যায়নি।