প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের প্রধানসহ পাঁচ সদস্য গ্রেপ্তার

প্রকাশ | ২৪ জুলাই ২০২০, ০১:৪৮

অনলাইন ডেস্ক

পাঁচ বছর ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করে আসা একটি সংঘবদ্ধ চক্রের প্রধানসহ পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুপুরে এ নিয়ে মালিবাগে সিআইডির সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলন এ তথ্য জানান সিআইডির সাইবার অপরাধ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার সুমন কুমার দাস।

তিনি বলেন, ২০১৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে তদন্ত করে সিআইডি। ওই মামলায় ১২৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। ওই মামলায় গ্রেপ্তার ৪৭ জনের মধ্যে ৪৬ জনই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তাদের কয়েকজনের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ২০১৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তি প্রশ্ন করার চক্রটির সন্ধান পায় সিআইডি। ১৯ জুলাই চক্রের সদস্য এস এম সানোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের প্রধান জসিম উদ্দিন ভুঁইয়া ওরফে মুন্নু, পারভেজ খান, জাকির হোসেন ওরফে দিপু, মোহাইমিনুল ওরফে বাঁধন ও এসএম সানোয়ার হোসেন।

এদের মধ্যে মোহাইমিনুল ও সানোয়ার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত। ১৯ ও ২০ জুলাই রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। জসিমের কাছ থেকে ২ কোটি ২৭ লাখ টাকার সঞ্চয় পত্র, ২ কোটি ৩০ লাখ টাকার চেক এবং পারভেজের কাছ থেকে ৮৪ লাখ টাকার চেক উদ্ধার করেছে সিআইডি। ফাঁস করা প্রশ্নপত্র বিক্রি করে তারা এই টাকা অর্জন করেছেন।

সুমন কুমার দাস বলেন, সানোয়ার জিজ্ঞাসাবাদে মেডিকেল ও ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেন। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে জসিম উদ্দিন, পারভেজ খান, জাকির হোসেন ও মোহাইমিনুলকে গ্রেপ্তার করে।

তিনি বলেন, ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে ওই দিনই মিরপুর থানায় পাবলিক পরীক্ষা আইনে মামলা করে সিআইডি। মামলায় ১৫০ থেকে ২০০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়। তাদের মধ্যে সানোয়ার ও মোহাইমিনুল গত বুধবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বাকি তিনজনের সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত আছেন কি না, জানতে চাইলে সিআইডি কর্মকর্তা কামরুল আহসান বলেন, রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া তিন আসামি আজ শুক্রবার কারাগার থেকে আনা হবে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে সব বেরিয়ে আসবে।