সাহেদকে ধরতে মৌলভীবাজারে পুলিশের অভিযান

প্রকাশ : ১৪ জুলাই ২০২০, ০৩:৩৮

সাহস ডেস্ক

রাজধানীর রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম মৌলভীবাজারের চাতলাপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার জন্য মৌলভীবাজারে অবস্থান করছেন, এমন খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। শমশেরনগর চৌমুহনা থেকে ভারতের ত্রিপুরাগামী সড়কের মুখে শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা দাঁড়িয়ে যানবাহনে তল্লাশি চালান।

সোমবার (১৩ জুলাই) বিকেল থেকে আকস্মিক পুলিশি তৎপরতা শুরু হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জেলায় অভিযান জোরদার করেছে।

বিশেষ করে কুলাউড়া উপজেলার চাতলাপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতের ত্রিপুরায় পালিয়ে যেতে না পারে সেজন্য র‍্যাব ও পুলিশ যানবাহনে তল্লাশি করছে। গুরুত্বপূর্ণ জায়গাসহ হোটেল ও রিসোর্টগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি রয়েছে।

কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশেকুল হক বলেন, আমি যতটুকু জেনেছি তা হলো পুলিশ সাহেদের ফোন নম্বর ট্রেক করে জানতে পেরেছে সে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার দিকে কোথাও আছে। হয়তো সে চাতলাপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যেতে পারে। আমাদের উপজেলার শমশেরনগর হয়ে আরও একটি পথে চাতলাপুর সীমান্তে যাওয়া যায়। আমাদের এলাকায় আমরা চেকপোস্ট বসিয়েছি। তবে এখন পর্যন্ত এ ধরনের কোনো কিছু আমরা পাইনি।

শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক (তদন্ত) অরুপ কুমার চৌধুরী বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা গেছে রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক সাহেদ চাতলাপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতের ত্রিপুরা প্রবেশ করতে পারেন। তাই তাকে ধরার জন্য সতর্কতামূলক পুলিশ শমশেরনগরে তদারকি চালাচ্ছে। সোমবার সন্ধ্যা পৌণে ৭টা পর্যন্ত পুলিশ সদস্যদের শমশেরনগর চৌমুহনায় দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।

প্রসঙ্গত, লাইসেন্সের মেয়াদ না থাকা, ভুয়া করোনা টেস্ট ও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহভাজনদের নমুনা নিয়ে তা পরীক্ষা না করাসহ বিভিন্ন অপরাধের দায়ে রাজধানীর রিজেন্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে মামলা করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। মামলায় রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদসহ ১৭ জনকে আসামি করা হয়।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- হাসপাতালের অ্যাডমিন অফিসার আহসান হাবীব (৪৫), এক্সরে টেকনিশিয়ান হাসান (৪৯), মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট হাকিম আলী (২৫), রিসিপশনিস্ট কামরুল ইসলাম (৩৫), রিজেন্ট গ্রুপের প্রজেক্ট অ্যাডমিন রাকিবুল ইসলাম (৩৯), রিজেন্ট গ্রুপের এইচআর অ্যাডমিন অমিত অনিক (৩৩), গাড়িচালক আব্দুস সালাম (২৫), এক্সিকিউটিভ অফিসার আব্দুর রশীদ খান জুয়েল (২৮),ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাসুদ পারভেজ (৪০), হাসপাতাল কর্মচারী তরিকুল ইসলাম (৩৩), স্টাফ আব্দুর রশিদ খান (২৯), স্টাফ শিমুল পারভেজ (২৫), কর্মচারী দীপায়ন বসু (৩২) ও মাহবুব (৩৮)। অপর দু'জনের নাম জানা যায়নি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত