রিজেন্ট চেয়ারম্যান সাহেদের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

প্রকাশ : ১৩ জুলাই ২০২০, ২১:৪৫

সাহস ডেস্ক

অর্থ আত্মসাতের দুই মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম ওরফে মো. সাহেদের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। তিন কোটি ৬৮ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এই মামলা দায়ের করে মাসুদ এন্টারপ্রাইজ।

সোমবার (১৩ জুলাই) ঢাকা মহানগর হাকিম মঈনুল ইসলাম মামলা আমলে নিয়ে এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

মামলার বাদীর আইনজীবী মনির হোসেন বলেন, মামলার বাদী সাইফুল ইসলাম মাসুদ রাজধানীর কারওয়ান বাজারের মাসুদ এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক। মামলার আসামি সাহেদ বাদীর দোকান থেকে বিভিন্ন সময় রড ও সিমেন্টসহ বিভিন্ন মালামাল নিতেন। মালামালের টাকা একসময় দাঁড়ায় তিন কোটি ৬৮ লাখ টাকা। মালামাল নিয়ে টাকা না দেয়ায় পৃথক দুটি মামলা করি তার নামে।

প্রসঙ্গত, লাইসেন্সের মেয়াদ না থাকা, ভুয়া করোনা টেস্ট ও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহভাজনদের নমুনা নিয়ে তা পরীক্ষা না করাসহ বিভিন্ন অপরাধের দায়ে রাজধানীর রিজেন্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে মামলা করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। মামলায় রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদসহ ১৭ জনকে আসামি করা হয়।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- হাসপাতালের অ্যাডমিন অফিসার আহসান হাবীব (৪৫), এক্সরে টেকনিশিয়ান হাসান (৪৯), মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট হাকিম আলী (২৫), রিসিপশনিস্ট কামরুল ইসলাম (৩৫), রিজেন্ট গ্রুপের প্রজেক্ট অ্যাডমিন রাকিবুল ইসলাম (৩৯), রিজেন্ট গ্রুপের এইচআর অ্যাডমিন অমিত অনিক (৩৩), গাড়িচালক আব্দুস সালাম (২৫), এক্সিকিউটিভ অফিসার আব্দুর রশীদ খান জুয়েল (২৮),ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাসুদ পারভেজ (৪০), হাসপাতাল কর্মচারী তরিকুল ইসলাম (৩৩), স্টাফ আব্দুর রশিদ খান (২৯), স্টাফ শিমুল পারভেজ (২৫), কর্মচারী দীপায়ন বসু (৩২) ও মাহবুব (৩৮)। অপর দু'জনের নাম জানা যায়নি।

উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তপন চন্দ্র সাহা বলেন, করোনা টেস্ট না করে রোগীদের জাল রিপোর্ট দেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে র‍্যাব মামলা করেছে। প্রতারণা ও অর্থ-আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত