আমরা মানবিক কাজে এখানে এসেছি: সেনাপ্রধান

প্রকাশ : ১১ জুন ২০২০, ১৬:৩৫

সাহস ডেস্ক

সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেছেন, ‘ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্তদের মানবিক সহায়তা দিতে আমরা এখানে এসেছি। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার কাজ করতে আসিনি। সবার সঙ্গে বিনয়ী আচরণ করতে হবে। মনে রাখতে হবে আমরা মানবিক কাজে এখানে এসেছি।’

বৃহস্পতিবার (১১ জুন) বেলা ১১টায় ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্ত সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে সাতক্ষীরা সার্কিট হাউস প্রাঙ্গণে সেনাসদস্যদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন সেনাপ্রধান।

সেনাপ্রধান বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে আগে নিজেকে সুস্থ থাকতে হবে। একটি বিশেষ পরিস্থিতির মধ্যে আমরা কাজ করছি। করোনার কারণে প্রটেকশন নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। যদি করোনা না থাকতো তাহলে সেনাসদস্যরা লুঙ্গি-গামছা পরে কাজে নেমে পড়তেন। করোনার কারণে সেটি হচ্ছে না। দুর্যোগে কিভাবে কাজ করতে হয় সেনাসদস্যরা তা জানেন। করোনা ম্যানেজমেন্ট কিভাবে করতে হবে; সেগুলো সেনাসদস্যদের আমরা প্রশিক্ষণ দিয়েছি। ক্রান্তিকালে যেসব সেনাসদস্য জনগণের পাশে রয়েছেন জনগণ তাদের মনে রাখবে।’

উপকূলীয় এলাকায় বাঁধরক্ষার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘উপকূলীয় এলাকায় বাঁধরক্ষার কাজ করে যাচ্ছেন সেনাসদস্যরা। মন্ত্রণালয় পরিকল্পনা করেছে। সরকারের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছিল বাঁধরক্ষার কাজ সেনাবাহিনীকে দিলে সেনাবাহিনী করবে কি-না? আমরা বলেছি, সরকারের দেয়া কাজ করতে সেনাবাহিনী প্রস্তুত। এটিকে আমরা গর্ব মনে করি। কিভাবে কাজগুলো করলে সুন্দর হবে এখন সেটি আমরা পরিকল্পনা করছি। বাঁধরক্ষায় মুহূর্তে লক দরকার, বাঁশসহ অন্যান্য সারঞ্জামাদি দরকার হবে। সবকিছু পর্যাপ্ত পাওয়া নাও যেতে পারে। তবুও আমরা চেষ্টা করছি।’

জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কাজ করতে সবসময় প্রস্তুত রয়েছে সেনাবাহিনী। আমরা যে কাজটি করব সেটি চেষ্টা করব ভালোভাবে করার। জনগণের সেনাবাহিনীর ওপর আস্থা রয়েছে। আমাদের প্রয়োজন স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা। সেটি যদি আমরা পাই তাহলে কাজটি ভালোভাবে করতে পারব। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কেও সেটি নিয়ে ভাবতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ৪৬০টি ঘর আমরা সংস্কার করে দিয়েছি। ১০ হাজার পরিবারকে খাদ্যসহায়তা দিয়েছি। খাবারের ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকেও অনেক উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। আমাদের সীমাবদ্ধতা রয়েছে; তারপরও সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। আমাদের ১৬টি পানি ট্রিটমেন্ট প্লান্ট রয়েছে। এর মধ্যে উপকূলে পানি সংকট নিরসনের জন্য তিনটি দেয়া হয়েছে। আরও লাগলে সেটি আমাদের কাছে চাইতে হবে ‘

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় হেলিকপ্টারযোগে সেনাপ্রধান সাতক্ষীরায় অবতরণ করে জেলা প্রশাসক ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। বেলা ১১টায় সেনাসদস্য ও সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলে দুপুর ১২টায় হেলিকপ্টারযোগে সাতক্ষীরা উপকূল ঘুরে খুলনার কয়রার উদ্দেশ্যে রওনা হন সেনাপ্রধান।

সূত্র: জাগো নিউজ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত