আম্ফানে লণ্ডভণ্ড সাতক্ষীরার উপকূলীয় অঞ্চল:পানি বন্দি ১ লক্ষ মানুষ

প্রকাশ : ২১ মে ২০২০, ১৭:৩৬

ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে সাতক্ষীরার উপকূলীয় অঞ্চল।বেড়িবাধঁ ভেঙ্গে পানির নিচে শত শত বাড়ি ঘর। নদীর সাথে মিশে গেছে রোজগারের একমাত্র প্রাতিষ্ঠান।

ইতোমধ্যে শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। উপকূলীয় এলাকার বাঁধগুলোর অর্ধশত পয়েন্ট ভেঙে গেছে। একটিও টিনের ছাউনি ও কাঁচাঘরবাড়ির অস্তিত্ব নেই। সবগুলো ঝড়ে ধসে পড়েছে। টিনের ছাউনি উড়ে গেছে।জনপদে প্রবল বেগে পানি প্রবেশ করছে। এছাড়াও ঝড়ের কবলে পড়ে সাতক্ষীরা শহরের কামালনগর এলাকায় এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। বিধ্বস্ত হয়েছে কাঁচা ঘরবাড়ি, উপড়ে পড়েছে গাছপালা।

শ্যামনগরের বুড়িগোয়ালিনী, গাবুরা, পদ্মপুকুর,কাশিমাড়ি, ও রমজাননগর ইউনিয়নের  মোট ১৫ টি পয়েন্টে  বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। ইতোমধ্যে তিনটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ইউনিয়নের ১৫টি গ্রামই প্লাবিত হয়ে যাবে। বাঁধ ভেঙে জনপদে পানি প্রবেশ করছে।
কালিগঞ্জ উপজেলার ভাড়াশিমলা এলাকার খারহাটে ইছামতি নদীর বাঁধ এবং মথুরেশপুর চিংড়া বাঁধ ভেঙে অনেক কাঁচা ঘর, গাছপালা ভেঙে গেছে। প্লাবিত হয়েছে তিনটি গ্রাম।

আশাশুনি উপজেলার উপকূলীয় সদর,প্রতানগর. ক্রীউলা. আনুলিয়া ও খাজরা ইউনিয়নের আটটি পয়েন্টে বাঁধ ভেঙে গেছে। ইতোমধ্যে চাকলা, দিঘলারাইট, কুড়িকাউনিয়া, হিজলা, কোলা, শ্রীউলা, হাজরাকালি, দয়ারগাট, বিছট, বাহাদুরপুর গ্রামসহ আরও অনেক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

এদিকে শ্যামনগওে প্রায় ১ লক্ষ মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউল হক দোলন।
হাজার হাজার বিঘা মাছের ঘের ,কাঁকড়া হ্যাচারি সহ আনুমানিক শত শত কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব মাহবুবুর রহমান।

 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত