আমফানের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড সাতক্ষীরা

প্রকাশ : ২১ মে ২০২০, ০৪:২৯

সাহস ডেস্ক

সাগর থেকে উপকূলে ঢুকতে গিয়ে টানা চার ঘণ্টার বেশি সময় তাণ্ডব চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় আমফান। সাতক্ষীরা শ্যামনগরের উপকূলীয় অঞ্চল, আশাশুনি ও সাতক্ষীরা সদরের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভেঙে গেছে অসংখ্য কাঁচা ঘরবাড়ি, গাছপালা, রাস্তা। ‍ডুবে গেছে মাছের ঘের ও ফসলি জমি। আশাশুনির ৬টি পয়েন্ট ও শ্যামনগরের একটি পয়েন্টে বেঁড়িবাধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। 

বুধবার (২০ মে) রাত সাড়ে নয়টার দিকে ঘূর্ণিঝড় আমফান সাতক্ষীরা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছিল বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এটি আরও উত্তর উত্তর পূর্ব দিকে এগিয়ে যাবে। স্থলভাগে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে আমফানের বাতাসের গতি কমবে। সেই সঙ্গে এটি বৃষ্টি ঝরিয়ে দুর্বল হয়ে যাবে।

সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিস জানায়, বুধবার (২০ মে) বিকেলে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের অগ্রভাগ সাতক্ষীরার সুন্দরবনে আঘাত হানা শুরু করে। এরপর রাত ১১টার পর শহর অতিক্রম করে। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিকেলের দিকে শ্যামনগরের ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় পাউবো বাঁধে ভাঙন শুরু হয়। গাবুরা ইউনিয়নের নাপিতখালী, গাগড়ামারী, জেলিয়াখালী, নেবুবুনিয়া, গাবুরা বাজার, খোলপেটুয়া ও ৯নং সোরা এলাকায় অধিকাংশ পাউবো বাঁধ খোলপেটুয়া ও কপোতাক্ষ নদীতে ধসে গেছে।

কাশিমাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান এস এম আব্দুর রউফ বলেন, ইউনিয়নের ঝাপালি নামক স্থানে পাউবো বাঁধে হঠাৎ ভাঙন শুরু হয়েছে। পাউবো কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় জিও ব্যাগ দিয়ে ভাঙন রোধ করার চেষ্টা অব্যাহত আছে।

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলিফ রেজা জানান, আশাশুনি উপজেলার উপকূলীয় প্রতানগর, ক্রীউলা, আনুলিয়া ও খাজরা ইউনিয়নের অইশে পয়েন্টে বাঁধ ভেঙে গেছে। ইতোমধ্যে চাকলা, দিঘলারাইট, কুড়িকাউনিয়া, হিজলা, কোলা, শ্রীউলা, হাজরাকালি, দয়ারগাট, বিছট, বাহাদুরপুর গ্রামসহ আরও অনেক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনই বলা সম্ভব নয়।

বুড়িগোয়ালিনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ভবতোষ কুমার মন্ডল বলেন, ইতোমধ্যে তিনটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ইউনিয়নের ১৫টি গ্রামই প্লাবিত হয়ে যাবে। বাঁধ ভেঙে জনপদে পানি প্রবেশ করছে।

শ্যামনগরের গাবুরা ইউনিয়নের বাসিন্দা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, লন্ডভন্ড হয়ে গেছে পুরো গাবুরা ইউনিয়ন। আমাদের বাড়ির ইটের দেওয়াল ধসে গেছে, ভেঙে পড়েছে বাড়ির অধিকাংশ গাছ।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত