সরকারের নগদ সহায়তা ও মাস্ক কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দাবি

প্রকাশ : ১৭ মে ২০২০, ০১:০০

সাহস ডেস্ক

করোনা পরিস্থিতিতে হতদরিদ্র ৫০ লাখ পরিবারের জন্য সরকারের আড়াই হাজার টাকা করে নগদ সহায়তা কার্যক্রমে অনিয়ম ও মাস্ক কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

শনিবার(১৬ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এসব দাবি জানানো হয়েছে।

নগদ সহায়তা কার্যক্রমের তালিকায় বিত্তশালী ও জনপ্রতিনিধিদের অনেক সচ্ছল আত্মীয়-স্বজনের নাম থাকায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছে সংস্থাটি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী একই মোবাইল নম্বর ২০০ জন উপকারভোগীর নামের বিপরীতে ব্যবহৃত হওয়ার ঘটনা কখনই অনিচ্ছাকৃত ভুলের অংশ হতে পারে না।

এ নিয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, উপকারভোগীদের তালিকায় ক্ষেত্রবিশেষে বিত্তশালী ও জনপ্রতিনিধিদের সচ্ছল আত্মীয়-স্বজনের নাম থাকা, সংশ্লিষ্টদের হীন ও পাশবিক মানসিকতার পরিচয় বহন করে। এক্ষেত্রে তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে মাঠ প্রশাসনের ভুল হয়েছে, এমন অজুহাতও ধর্তব্য নয়।

সংস্থাটি দাবি করেছে, যারা এই অর্থ পাচ্ছেন বা পাবেন তাদের পূর্ণ তালিকা সর্বসাধারণের জ্ঞাতার্থে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। এতে করে প্রকৃত হতদরিদ্র, সুবিধাবঞ্চিত ও অসচ্ছলদের হাতে এই সহায়তার টাকা পৌঁছাবে। ‘২০০ জন উপকারভোগীর নামের বিপরীতে একই মোবাইল নম্বর’ ব্যবহৃত হওয়ার মতো যে ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, তা কখনই অনিচ্ছাকৃত ভুলের অংশ হতে পারে না বলে মনে করে টিআইবি।

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, এই ক্রান্তিকালে প্রধানমন্ত্রীর নগদ সহায়তা দেবার উদ্যোগ সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। কিন্তু তালিকা প্রণয়নে স্থানীয় পর্যায়ে অনিয়ম ও বিতরণে অদক্ষতা এবং সমন্বয়হীনতা পুরো কার্যক্রমকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলতে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, মোবাইল নম্বরের সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর মিলিয়ে উপকারভোগীদের অর্থ পরিশোধ করা হবে, এমন বক্তব্য আশাবাদ তৈরি করলেও- যথেষ্ট নয়, অনিয়মের সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

করোনা মোকাবিলায় চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের অপরিহার্য উপাদান মাস্ক সরবরাহের ক্ষেত্রে সংঘটিত অনিয়মের ঘটনার এখনও কোনো সুরাহা হয়নি বলে জানান ড.  ইফতেখারুজ্জামান।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট জমা হওয়া সত্ত্বেও ঘটনার এতদিন পার হলেও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী এখনও প্রতিবেদনটি দেখার সুযোগ পাননি, কোনো পদক্ষেপও গৃহীত হয়নি, যা সত্যিই দুঃখজনক। প্রশ্ন উঠবে, যারা এই কেলেঙ্কারির সাথে জড়িত তাদের কী ক্ষমতাবানদের একাংশের সাথে যোগসাজশ রয়েছে, যারা তাদের সুরক্ষা দিতে তৎপর, না কী তারা প্রধানমন্ত্রীর চেয়েও বেশি ক্ষমতাবান’।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত