সুন্দরবনের চোরাশিকারিদের তৎপরতা বৃদ্ধি, রেড এলার্ট জারি

প্রকাশ : ১৫ মে ২০২০, ০৭:০৪

সাহস ডেস্ক

করোনাভাইরাসের কারণে রাস্তা-ঘাট অনেকটা ফাঁকা থাকার সুযোগে সুন্দরবনের চোরাশিকারিদের তৎপরতা বৃদ্ধি পাওয়ায় রেড এলার্ট জারি করে বন বিভাগের টহল জোরদার করা হয়েছে। প্রশাসনিক সুবিধার জন্য দুইভাগে ভাগ করা হয়েছে সুন্দরবনকে। পূর্ব সুন্দরবন বিভাগ ও পশ্চিম সুন্দরবন বিভাগ।

পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. বেলায়েত হোসেন জানান, পূর্ব সুন্দরবনে মাত্র ৩৬ দিনের ব্যবধানে পুলিশও বনরক্ষীরা অভিযানে চলিয়ে চোরাশিকারীদের কবল থেকে ২৪টি জীবিত হরিণ, ৭৯ কেজি হরিণের মাংস, নাইলনের দড়ির ৬ হাজার ৬০০ ফুট হরিণ ধরার ফাঁদ উদ্ধার করে। এ সময় ৭ জন চোরাশিকারিকে আটকসহ শিকার কাজে ব্যবহৃত ৪টি ট্রলার ও দু’টি নৌকা জব্দ করা হয়।

তিনি বলেন, এসব ঘটনায় হরিণ শিকার প্রতিরোধে বনবিভাগ সুন্দরবনে রেড এলাট জারি করে টহল জোরদার করেছে। উদ্ধারের ঘটনায় বন আইনে মামলা করা হয়েছে।

বনসংলগ্ন এলাকার মৎসজীবী ও বনজীবীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, চোরাশিকারির সংঘবদ্ধ চক্র সুন্দর বনের গভীর অরণ্যের হরিণ বসতিপূর্ণ এলাকায় অবস্থান নেয়। কখনো ট্রলারে, কখনও নৌকায় আবার কখনো বনের গাছে মাচা বেঁধে হরিণের গতিবিধি লক্ষ্য করে তারা। শিকারীরা বিশেষ করে কৃষ্ণপক্ষের রাতে জঙ্গলে বেশি হানা দেয়। সুন্দরবনে যে অঞ্চলে কেওড়া গাছ বেশি জন্মে, হরিণের আনাগোনা সেখানে সবচেয়ে বেশি থাকে।

আরও জানা যায়, ভোরে অথবা পড়ন্ত বিকেলে কিংবা চাঁদনি রাতে হরিণ চরাঞ্চলে ঘাস খায়। রাতের আঁধারে গহীন অরণ্যে সুযোগ বুঝে চোরাশিকারিরা গুলি করে কিংবা ফাঁদ পেতে হরিণ শিকার করে। হরিণ শিকারের পর গোপন আস্তানায় বসে মাংস তৈরি করা হয়। পরে তা বিক্রি করা হয় সুন্দরবন সংলগ্ন হাট বাজারগুলোতে। চোরাই বাজারে এক কেজি হরিণের মাংস এ এলাকায় ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হয়।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত