রোগীর ঔষধ পাল্টে দিতে বলায় চিকিৎসকের ওপর দোকানির হামলা

অভিযুক্ত দোকানী মণিরুল সর্দার

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. তৈয়েবুর রহমান গালিবকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে এক ঔষধের দোকানির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় হাসপাতালের স্টাফদের মাঝে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। শুক্রবার (৮ মে) বিকেল ৫টার দিকে এক রোগীর জন্য দেয়া ঔষধ পাল্টে দিতে বলায় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তাকে মারধর করেন দোকানি।

অভিযুক্ত মনিরুল সরদার হাসপাতালের সামনের এস এম ড্রাগ হাউজের মালিক ও স্থানীয় হান্নান সরদারের ছেলে।

ভুক্তভোগী ডা. তৈয়েবুর রহমান গালিব জানান, হাসপাতালের ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা এক রোগীর জন্য ব্যবস্থাপত্র দেখে রোগীর স্বজনকে জরুরি কিছু ঔষধ আনতে পাঠান নার্স। রোগীর স্বজনও ঔষধ নিয়ে ওয়ার্ডে ফেরেন। নার্স দেখেন এক ঔষধের পরিবর্তে অন্য ওষুধ দিয়েছেন দোকানি। নার্স ঔষধটা বদলে আনতে বলেন। রোগীর স্বজন পুনরায় দোকানে গিয়ে ঔষধ বদলাতে ব্যর্থ হয়ে জরুরি বিভাগে ঘটনাটি জানান।

ডা. তৈয়েবুর রহমান গালিব বলেন, ঘটনাটি আমাকে জানালে আমি পুনরায় তাকে ওই দোকানে গিয়ে ঔষধটি বদলে আনতে পাঠাই। তিনি পুনরায় ফিরে এসে জানান দোকানি ঔষধ বদলে দেবে না আবার টাকাও ফেরত দেবে না। তার কাছে টাকাও নেই। তখন অসহায় লোকটির দিকে তাকিয়ে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে তার সঙ্গে আমিও দোকানে গিয়ে ঔষধটি বদলে দিতে অনুরোধ করি। তখন দোকানদার মনিরুল সরদার ঔষধ বদলে দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেন, ‘ওই ঔষধ আমার এখানে নেই।’ তখন টাকা ফেরত চাই। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ঔষধ দোকানি মনিরুল সরদার আমার ওপর হামলা চালায়। ঘটনাটি আমি সিভিল সার্জন স্যারকে অবহিত করে এ ঘটনার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করেছি।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. সাইফুল্লাহ্ আল কাফি জানান, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে কর্তৃপক্ষ আশ্বস্ত করেছে।

তবে অভিযুক্ত ঔষধের দোকানি মনিরুল সরদার ওই চিকিৎসককে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে কথা কাটাকাটি হয়েছে।

সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডা. মো. হুসাইন সাফায়ত বলেন, হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. আসাদুজ্জামান এক রোগীর জন্য ব্যবস্থাপত্র লেখেন। দোকানদার সেই ঔষধ না দিয়ে অন্য ঔষুধ দেন। সেটি বদলানোকে ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।