আর নমুনা সংগ্রহ করবে না আইইডিসিআর
প্রকাশ | ০৪ মে ২০২০, ০৪:৫৭ | আপডেট: ০৪ মে ২০২০, ১২:৪৯
করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য আর নমুনা সংগ্রহ করবে না আইইডিসিআর। এখন থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষার মাধ্যমে রোগ নির্ণয়ের কাজটি করবে। শুধু মান নিয়ন্ত্রণের জন্য এসব প্রতিষ্ঠান কর্তৃক পাঠানো একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ স্যম্পল পরীক্ষা করে যাচাই করবে আইইডিসিআর।
রবিবার (৩ মে) থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইইডিসিআরের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মুশতাক হোসেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত সচিব ও কোভিড-১৯ বিষয়ক মিডিয়া সেলের প্রধান হাবিবুর রহমান।
হাবিবুর রহমান বলেন, তাদের পক্ষে অসংখ্য টেস্ট করতে গিয়ে স্যাম্পল কালেকশন একটা বার্ডেন হয়। যেটা তাদের জন্য ভালো হয়, সেটাই তারা করবে। তবে অনেকেই আছেন যারা কোথাও যেতে পারবেন না, গিয়ে তাদের নমুনা নিয়ে আসার সুযোগ রাখার জন্য আমি অনুরোধ করবো।
আইইডিসিআরের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মুশতাক হোসেন রোগীর রোগ নির্ণয়ের জন্য স্যাম্পল সংগ্রহ আইইডিসিআরের কাজের মধ্যে পড়ে না। আসলে আইইডিসিআর এপিডেমিওলজিক্যাল সার্ভিলেন্সের অংশ হিসেবে নমুনা সংগ্রহ করে। হাসপাতালগুলোয় এখন পরীক্ষার সুবিধা আছে। এজন্য কমিউনিটি লেভেলে রোগ নির্ণয়ের জন্য যে নমুনা পরীক্ষা, তার দায়িত্ব স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নিয়ে নিয়েছে। তারা এখন থেকে নমুনা সংগ্রহ করবে এবং আইইডিসিআরের বাইরে অন্য ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করবে।
ড. মুশতাক হোসেন আরও বলেন, মাঠ পর্যায় থেকে স্যাম্পল সংগ্রহ এবং কোয়ালিটি কন্ট্রোল প্রভৃতি কারণে রেজাল্ট দিতেও দেরি হচ্ছে। নমুনা সংগ্রহ করে সব কাজ করা আইইডিসিআর-এর পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। কোয়ালিটি চেক করাও সমস্যা হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানের জনবল বাড়েনি; কিছু ভলান্টিয়ার, বিভিন্ন সংস্থা, সরকারও ডেপুটিশনে কয়েকজন দিয়েছে, কিন্তু সেটা পর্যাপ্ত না।
ডা. মুশতাক হোসেন জানান, নতুন করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে বিস্তারিত গবেষণার জন্য যে নমুনা সংগ্রহ করা প্রয়োজন, সেগুলোই শুধু করবে আইইডিসিআর। নমুনা পরীক্ষার চাপে আইইডিসিআর তাদের মূল গবেষণা ঠিকমতো করতে পারছিল না। এছাড়া অন্যান্য ল্যাবরেটরিতে যে নমুনা পরীক্ষা চলছে, তার একটা অংশ আইইডিসিআর পুনরায় পরীক্ষা করবে। বাংলাদেশে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রেফারেন্স ল্যাবরেটরি হিসেবে কোয়ালিটি কন্ট্রোলের জন্য। যেসব নেগেটিভ রেজাল্ট হয় সেগুলো পুনরায় পরীক্ষা করবে আইইডিসিআর।