মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর গানম্যানের গুলিতে অপর বন্ধুও মারা গেলেন

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের গানম্যান ও পুলিশের এএসআই কিশোর কুমার সরকার গত ১৬ এপ্রিল তার এক বন্ধুকে গুলি করে হত্যা করেন। গুলিতে আরেক বন্ধু আহত হন।

বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) দিবাগত রাত ২টার দিকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অপর বন্ধু মহিম উদ্দিন (৩২) মারা গেছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন মজুমদার। নিহত মহিম উদ্দিন গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সীমান্তবর্তী টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুরের আজগানা গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে। 

পুলিশ তাকে ঘটনার একদিন পর আশুলিয়ার শিমুলতলী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে। ওই সময় তার কাছ থেকে একটি পিস্তল ও ছয় রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মন্ত্রীর গানম্যান কিশোর ও হতাহতরা পরস্পর বন্ধু। প্রায়ই তারা একসঙ্গে আড্ডা দিতেন। স্ত্রীর সঙ্গে কিশোরের দীর্ঘদন ধরে দাম্পত্য কলহ চলছিল। সম্প্রতি ওই কলহের জেরে স্ত্রী ঢাকার বাসা থেকে বাবার বাড়ি চলে যান। এই কলহের কারণ হিসেবে কিশোর তার স্ত্রীর সঙ্গে নিহত মহিম উদ্দিনের পরকীয়াকেই সন্দেহ করছিলেন।

এ জন্যই মহিমকে হত্যার উদ্দেশ্যেই গাঁজা সেবন ও আড্ডা দেওয়ার কথা বলে গত ১৬ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টায় স্থানীয় কুতুববদিয়ায় এলাকার একটি পতিত জমিতে ফোন করে আসতে বলে কিশোর। পরে মাহিম তার বন্ধু শহিদকে নিয়ে উল্লেখিত স্থানে কিশোরের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। পরে রাত পৌনে ১০টার দিকে কিশোর মোটরসাইকেলে করে ঘটনাস্থলে গিয়ে কিছু বুঝে ওঠার আগেই তার কাছে থাকা পিস্তল দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকেন। এতে মহিমের গায়ে দুটি এবং শহিদের বুকে একটি গুলি লাগে। এতে শহিদ ঘটনাস্থলেই নিহত হন। গুলির শব্দ পেয়ে এলাকাবাসী ছুটে আসলে কিশোর দৌড়ে পালিয়ে যান। আহত মহিম উদ্দিনকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন মজুমদার বলেন, আহত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। মৃত্যুর আগে মহিম ঘটনার বিস্তারিত পুলিশকে জানিয়েছিলেন।