কামারখন্দে বোরো ধান কাটা নিয়ে দুশ্চিন্তা এবং কৃষকের বড়ো ধরনের ক্ষতির আশংকা

প্রকাশ : ১৬ এপ্রিল ২০২০, ২০:২৬

সারা বিশ্ব ব্যাপি করোনা ভাইরাস রুপ নিয়েছে মহামারিতে। এর প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশেও। করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে সবাইকে ঘরে থাকতে বলেছে সরকার। এমতাবস্থায় বোরো ধান কাটা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার কৃষকরা। শ্রমিক সংকটে সঠিক সময়ে যদি ক্ষেত থেকে ধান না কাটা যায় তাহলে বড়ো ধরনের ক্ষতির সম্মুক্ষিণ হতে পারে বলে আশংকা করছেন উপজেলার অনেক কৃষক। 
 
কৃষকের মাঠে ধান কাঁটতে বাধা নেই বলে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে জানা যায়। তবে করোনার মধ্যে কৃষক ও কৃষি শ্রমিকদের ঝুঁকি এড়াতে কোন উদ্যোগ নেয়নি সরকার। এতে ঘর থেকে বের হলে করোনা সংক্রমণ ঝুঁকিতে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে উপজেলার অনেক কৃষকের। 
 
উপজেলার ডিডি শাহবাজপুর গ্রামের কৃষক সিরাজুল ইসলাম জানান, এবার আমি কয়েক বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছি। কয়েক দিন পর ধান কাটতে হবে। করোনা ভাইরাসের কারণে মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছে না। কৃষি শ্রমিক ঘর থেকে বের হয়ে মাঠে কাজ করবে তারাও তো করোনা সংক্রমণ ঝুঁকিতে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। করোনার আতংকে যদি শ্রমিক ঘর থেকে না বের হয় তাহলে তো ধান কাটতে পারবো না, ক্ষেতের ধান ক্ষেতেই থাকবে। ফলে ব্যাপক হারে খাদ্য সংকটে পড়বে দেশ। 
 
একই গ্রামের কৃষক ওয়াহাব সরকার জানান, আমি ঋণ করে ধান চাষ করেছি। শ্রমিকের কারণে ক্ষেত থেকে ধান কাটতে না পারলে ঋণ পরিশোধ করতে পারবো না। পরিবার নিয়ে না খেয়ে মরতে হবে। 
 
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার সাদাত জানান, কৃষক ও কৃষি শ্রমিক বাহিরে বের হতে বা অন্য এলাকায় যেতে চাইলে ব্যক্তিগত ভাবে সরকারি স্বাস্থ্য বিধি মেনে যেতে পারবে। তারা প্রশাসনের কোন বাধার মুখে পড়বে না, প্রয়োজনে কৃষি শ্রমিকরা আমার কাছ থেকে প্রত্যয়ন নিয়ে যেতে পারবেন। 
 
উপজেলায় এবার বোরো মৌসুমে ৬ হাজার ৭শ' ৭০ হেক্টর জমিতে ধান চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। অর্জিত হয়েছে ৬ হাজার ৭শ' ৭০ হেক্টর জমিতে।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত