নরসিংদীতে করোনা উপসর্গ নিয়ে নারী গার্মেন্টস শ্রমিকের মৃত্যু

প্রকাশ : ১০ এপ্রিল ২০২০, ২১:৩৪

সাহস ডেস্ক

নরসিংদীতে করোনা উপসর্গ নিয়ে ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা সুলতানা বেগম (৩৫) নামে এক নারী গার্মেন্টস শ্রমিক মারা গেছেন।

৯ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) সকালে সদর উপজেলার মেঘনা নদী বেষ্টিত চরাঞ্চল আলোকবালী ইউনিয়নের পূর্ব পাড়ায় তিনি মারা যান। নিহত সুলতানা নারায়ণগঞ্জের একটি গার্মেন্টসে কাজ করতেন।

আলোকবালীর বাসিন্দা ফরিদ মিয়ার মেয়ে এবং কাজিরকান্দির বাসিন্দা আমানুল্লার স্ত্রী সুলতানা।

তার নমুনা সংগ্রহের জন্য নরসিংদীর একটি স্বাস্থ্য টিম রওনা হয়েছে। এদিকে করোনার আক্রান্ত হয়েছে কিনা, সেই ভয়ে স্বামীর বাড়ি কাজিরকান্দিতে লাশ দাফন করতে দেয়নি গ্রামবাসী। এমনকি মৃতের স্বামী আমানুল্লাকেও লাশের কাছে যেতে দিচ্ছে না তার স্বজনেরা। ফলে মেঘনা নদীতে নৌকায় ভাসসে তার লাশ। মেয়ের লাশ পাহারা দিচ্ছেন বৃদ্ধ বাবা ফরিদ মিয়া।

জানা যায়, বেশ কয়েকদিন যাবৎ জ্বর, ঠান্ডা, কাশি ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন সুলতানা। নারায়ণগঞ্জ জেলাকে লকডাউনের পর বন্ধ হয়ে যায় শিল্প কারখানা। এরইমধ্যে গতকাল বুধবার তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। পরে বুধবার রাতেই নারায়ণগঞ্জ থেকে নরসিংদীর আলোকবালীতে চলে আসেন। বৃহস্পতিবার তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে বটতলী এলাকায় ডাক্তার দেখাতে যাওয়ার পরে সেখানেই মারা যান সুলতানা।

পরে তার লাশ স্বামীর বাড়ি কাজিরকান্দি গ্রামে নেওয়া হয়। কিন্তু করোনা উপসর্গ থাকায় গ্রামের লোকজন তাকে স্বামীর বাড়িতে দাফন করতে দেয়নি। পরে লাশ নিয়ে পুনরায় বাবার বাড়ি আলোকবালীতে চলে আসেন। সন্ধ্যায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত লাশ নদীর ঘাটে নৌকায় পড়ে ছিল।

আলোকবালী গ্রামের বাসিন্দা সমির বলেন, ‘করোনার আক্রান্ত হয়েছে কিনা, সেই ভয়ে স্বামীর বাড়ি কাজিরকান্দিতে লাশ দাফন করতে দেয়নি। মৃতের স্বামীকেও লাশের কাছে যেতে দিচ্ছে না তার স্বজনেরা। এখনো লাশ পড়ে আছে নৌকায়। লাশ পাহারা দিচ্ছেন মৃতের বাবা।’

নরসিংদী সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিম টিটন বলেন, ‘মৃত নারী শ্রমিকের নমুনা সংগ্রহের জন্য নরসিংদী স্বাস্থ্য বিভাগের একটি টিম ঘটনাস্থলের উদ্যেশে রওনা হয়েছেন। নমুনা সংগ্রহের পরই তার লাশ দাফন দেওয়া হবে।’

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত