আগাম প্রস্তুতি নেয়ায় রোগীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশ : ২৯ মার্চ ২০২০, ১৭:২১

সাহস ডেস্ক

বাংলাদেশে সরকার আগে থেকে প্রস্তুতি নেয়ার ফলেইই করোনাভাইরাস রোগীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, আমরা নিজেদের উদ্যোগে দুই মাস আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়েছি। আমাদের উদ্যোগটি কাজে লেগেছে।

রবিবার (২৯ মার্চ) রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে যুক্ত হন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। সেখানে তিনি এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, অনেকে বলছে, সংখ্যা এত কম কেন। কেন, সংখ্যা বেশি হলে কি আমরা খুশি হই? আমরা কি চাই বেশি বেশি লোক সংক্রমিত হোক? বেশি বেশি লোক মৃত্যুবরণ করুক? আমরা তো চাই আমাদের দেশের লোক সংক্রমিত না হোক। আমাদের দেশের লোক মৃত্যুবরণ না করুক। এটিই সবচেয়ে বড় বিষয়।

এর আগে সংবাদ সম্মেলনে আইইডিসিআরের পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, গত চব্বিশ ঘন্টায়ও বাংলাদেশে কারো দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়নি। এনিয়ে পরপর দুই দিন বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এর কোনো রোগী পাওয়া গেলো না।

অনেকের অভিযোগ, যথেষ্ট পরিমাণ পরীক্ষা না করার ফলে সঠিক আক্রান্তের সংখ্যা জানা যাচ্ছে না এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, অনেক হাসপাতালে পরীক্ষা করার ব্যবস্থা থাকলেও সেখানে মানুষ পরীক্ষা করতে যাচ্ছে না, যা ইঙ্গিত করে যে বাংলাদেশে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা কম। চট্টগ্রামে যেই কেন্দ্রে পরীক্ষা করা হচ্ছে সেখানে গত চার পাচদিনে ৫-৭ জনও পরীক্ষা করতে আসেনি।

জাহিদ মালেক বলেন, অনেকে বলছেন আমাদের ভেন্টিলেটর সংখ্যা মাত্র ২৯টি। যেটা সঠিক নয়। আমাদের কাছে আজও ৫০০’র কাছাকাছি ভেন্টিলেটর আছে। আরও সাড়ে তিনশ আসছে। কাজেই আমি মনে করি বিভ্রান্ত করার মতো কোন সংবাদ পরিবেশন করা উচিত না। এখন আমাদের কাজ হলো সকলে মিলে একযোগে কাজ করা। যেটা এখন আমরা করছি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বলা হচ্ছে করোনা নিয়ে সরকারের প্রস্তুতি নেই। এটা সঠিক নয়, গত জানুয়ারি থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে বিমানবন্দরে স্ক্যানিং জোরদার করা হয়েছে। কিন্তৃ প্লেন কমানো বা বিদেশিদের আগমন ঠেকানোর কাজ তো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের না! যারা এখনো আজও আসছেন সেটাও ঠেকানোর ক্ষমতা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নাই। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের চিকিৎসা ব্যবস্থা দিতে পারে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা ভালো আছি। বাংলাদেশ পৃথিবীর অনেক দেশের তুলনায় এখন অনেক ভালো আছে। আমরা অনেক আগে প্রস্তুতি নিয়েছি বলেই আমরা ভালো আছি। ইউরোপ-আমেরিকার অবস্থা কেমন, সেটা আপনারা জানেন।

ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জামের বিষয়ে জাহিদ মালেক বলেন, এ পর্যন্ত তিন লাখ পিপিই বিতরণ করা হয়েছে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে। এপ্রিলের মধ্যে পাঁচ লাখ আসবে। প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ হাজার হাতে পাচ্ছি। এ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করার দরকার নেই। কিটের বিষয়ে অনেক কথা কানে এসেছে। আমাদের এখন হাতে ৪৫ হাজার কিট আছে। আরও অর্ডার কোয়ানটিটি আছে ৮৫ হাজার।

মন্ত্রী বলেন, ছুটি শেষ হয়ে যাচ্ছে। আমরা পর্যবেক্ষণ করব। আপনারাও করবেন, দেশবাসী করবেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও করবেন। আমাদের এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পরিস্থিতি দেখব। এরপর প্রধানমন্ত্রীকে পরিস্থিতি জানাব। তিনি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত জানাবেন।

আকিজ গ্রুপের নির্মাণাধীন হাসপাতালের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আকিজ গ্রুপ যদি একটি ভবন তৈরি করতে চায়, তাতে যদি সমস্যা না হয়, দেশবাসীর জন্য এলাকার জন্য ভালো হয়। প্রয়োজন না হলে আমরা সেটা ব্যবহার করব না। সবাইকে সহনশীল হতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত