সেই এসিল্যান্ডকে প্রত্যাহার, বাড়ি গিয়ে ক্ষমা চাইবেন ইউএনও

প্রকাশ | ২৮ মার্চ ২০২০, ১৩:৪১ | আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২০, ১৭:৪৪

অনলাইন ডেস্ক

যশোরের মনিরামপুর উপজেলায় মাস্ক ব্যবহার না করায় তিন বৃদ্ধকে জনসম্মুখে কান ধরিয়ে দাঁড় করিয়ে শাস্তি দেওয়ার ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুন।

শনিবার (২৮ মার্চ) সকালে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, এই ঘটনার জন্য আমার দুঃখ প্রকাশ করছি।

জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুন বলেন, আমরা ওই কর্মকর্তাকে (সাইয়েমা হাসান) প্রত্যাহার করে বিভাগীয় কমিশনারের অফিসে সংযুক্ত করার জন্য বলেছি। সেটা করা হয়েছে। যে তিনজন সিনিয়র সিটিজেন সঙ্গে খারাপ আচরণ করা হয়েছে মণিরামপুরের ইউএনও মিডিয়াকে নিয়ে তাদের বাড়ি যাচ্ছেন, এবং তাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করবেন।

সচিব বলেন, তাদের যদি খাদ্য সহায়তা প্রয়োজন হয় সেটা দেবেন। এসিল্যান্ডকে সেখানে নেয়া হবে না, যেহেতু আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা গিয়ে স্যরি বলবেন।

শেখ ইউসুফ হারুন বলেন, যা ঘটেছে তাতে তার (সাইয়েমা হাসান) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবে তার পক্ষে আমাদের স্যরি বলা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। তাদের আচরণের জন্য আমাদের বিব্রত হতে হয়। এই ঘটনায় আমরা অত্যন্ত ব্যথিত হয়েছি।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার (২৮ মার্চ) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইয়েমা হাসান যশোরের মনিরামপুর উপজেলায় মাস্ক ব্যবহার না করায় তিন বৃদ্ধকে জনসম্মুখে কান ধরিয়ে দাঁড় করিয়ে শাস্তি দেন। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিন্দা ও সমালোচনার ঝড়ে উঠে।

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় জনসমাগম নিয়ন্ত্রণে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইয়েমা হাসানের নেতৃত্বে শুক্রবার বিকাল থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত মনিরামপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার চিনাটোলা বাজারে অভিযানের সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের সামনে পড়েন প্রথমে দুই বৃদ্ধ। এর মধ্যে একজন বাইসাইকেল চালিয়ে আসছিলেন। অপরজন রাস্তার পাশেই বসে কাঁচা তরকারি বিক্রি করছিলেন। তবে তাদের মুখে মাস্ক ছিল না।

পুলিশ এ সময় ওই দুই বৃদ্ধকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করলে সাইয়েমা হাসান শাস্তি হিসেবে তাদের কান ধরিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখেন জনসম্মুখে। শুধু তাই নয়, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিজেই তার মোবাইল ফোনে এ চিত্র ধারণ করেন। পরবর্তীতে আরও এক ভ্যানচালক বৃদ্ধকেও একইভাবে কান ধরিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখেন তিনি।

এসি ল্যান্ড সাইয়েমা হাসান স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে বৃদ্ধদের এ শাস্তি দেয়ার সত্যতা স্বীকার করেন।