সাংবাদিক আরিফের জামিন, সাজার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট

প্রকাশ : ১৫ মার্চ ২০২০, ১২:৩০

সাহস ডেস্ক

জামিন পেয়েছেন ঢাকা ট্রিবিউনের কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আরিফুল ইসলামের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাখাওয়াত হোসেন।

রবিবার (১৫ মার্চ) সকালে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে তাকে জামিন দেয়া হয়।

আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাখাওয়াত হোসেন জানান, ২৫ হাজার টাকা জামানত রেখে আরিফকে জামিন দেয়া হয়েছে। তবে মামলাটির আপিল চলমান।

এদিকে সাংবাদিক আরিফের পরিবার তার জামিনের বিষয়টি মেনে নিতে পারছেন না। আরিফের বোন জানান, জামিনের বিষয়টি তারা মেনে নিতে পারছেন না। তারা আরিফের জামিন আবেদন করেননি। তারা আরিফের জামিন চান না, নিঃশর্ত মুক্তি চান।

অন্যদিকে, আরিফুল ইসলামকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে কারাদণ্ড প্রদানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিবসহ সংশ্লিষ্ট ১৭ জনকে রিটে বিবাদী করা হয়। বাংলা ট্রিবিউনের নির্বাহী সম্পাদক হারুন উর রশীদের পক্ষে আইনজীবী ইশরাত হাসান জনস্বার্থে রিটটি দায়ের করেন।

ইশরাত হাসান বলেন, বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি সরদার মো. রশিদ জাহাঙ্গীরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি হতে পারে। রিটে ফৌজদারি কার্যবিধি, ভ্রাম্যমাণ আদালত আইন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন এবং সংবিধানের ৩১, ৩২, ৩৫ এবং ৩৬ অনুচ্ছেদের সুস্পষ্ট লঙ্ঘনের বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, প্রসঙ্গত, শুক্রবার (১৩ মার্চ) কুড়িগ্রামের নিজ বাড়ি থেকে ঢাকা ট্রিবিউন সাংবাদিক আরিফুল ইসলামকে তুলে নিয়ে একবছরের জেল দিয়েছে জেলা প্রশাসনের মোবাইল কোর্ট। দুই থেকে তিনজন ম্যাজিস্ট্রেটসহ ১৫-১৬ জন আনসার সদস্য দরজা ভেঙে আরিফুলের বাড়িতে ঢুকে তাকে তুলে নিয়ে যায়।

পরিবারের সদস্য জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে হঠাৎ করে বাড়ির গেটে ধাক্কাধাক্কির শব্দ পান তারা। এসময় দরজা না খুললে তা ভেঙ্গে ফেলা হবে বলেও তাদেরকে হুমকি দেওয়া হয়। সেসময় কুড়িগ্রাম সদর থানার ওসি মাহফুজার রহমানকে ফোন করা হলে ওসি জানান, থানা থেকে কোনও পুলিশ সেখানে যায়নি, কারা গেছে বিষয়টি দেখছেন তিনি। একপর্যায়ে দরজা ভেঙ্গে ৭ থেকে ৮ জন সাদা পোশাকধারী তাদের বাসায় প্রবেশ করে দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে আরিফুলকে মারতে মারতে ঘরের বাইরে নিয়ে যায়। এরপর আরিফুল তাদের কাছে কারণ জানতে চাইলে তারা আবারও তাকে মারধর করে। এরপর তাকে সরাসরি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

আরিফুল ইসলাম তার স্ত্রীকে জানান, মধ্যরাতে তাকে বাসা থেকে জোর করে তুলে আনার পথে জেলা প্রশাসক কার্যালয় পর্যন্ত লাথি-থাপ্পড়, ঘুষি মারতে মারতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে একটি কক্ষে নিয়ে গিয়ে প্রথমে তার দুই চোখ কাপড় দিয়ে বেঁধে ফেলা হয়। এরপর প্যান্ট ও গেঞ্জি খুলে তাকে উলঙ্গ করে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়। এসব দৃশ্য ভিডিও করা হয়।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত