অমর একুশের গ্রন্থমেলার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৮:১৬

সাহস ডেস্ক

বাংলা একাডেমিতে আয়োজিত অমর একুশের গ্রন্থমেলার উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের তৃতীয় স্মৃতিকথামূলক গ্রন্থ ‘আমার দেখা নয়াচীন’-এর মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী।

রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে 'অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২০' উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি ও জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান।

ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে মেলা। আর ছুটির দিনে মেলা খোলা থাকবে বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত এ গ্রন্থমেলা খোলা থাকবে।

মোড়ক উন্মোচন শেষে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কারাগারে খাতা সেন্সর করে দেওয়া হতো। সেই সেন্সরের সিল থেকে আমরা জানতে পারি ১৯৫৪ সালে লেখা। মলাটটি অনেকটা চীনা অক্ষরের মতো করে লেখা। মনোগ্রামটি পিকাসোর তৈরি করা। ৫২ সালে বঙ্গবন্ধু চীনে শান্তি সম্মলনে গিয়েছিলেন। পূর্ববঙ্গ থেকে প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে তিনি আমন্ত্রিত ছিলেন। সেখানে যাবার পথটি, কীভাবে গিয়েছেন তার বিস্তারিত বর্ণনা আছে। বিশেষভাবে লক্ষণীয়, এই বইতেই লেখা আছে—তিনি শান্তি সম্মেলনে বাংলা ভাষায় বক্তৃতা দিয়েছিলেন। মনোজ বসু তার বইতে একথা লিখেছেন। এসবই এই বইতে পাওয়া যাবে।

ছাত্রজীবনে বইমেলার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছাত্রজীবনে কোনো দিন সারাদিন আবার কোনো দিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটাতাম। কিন্তু এখন সেই স্বাধীনতা নেই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলা ভাষা আজ দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে মানুষের প্রাণে অনুরণিত হয়। ২১ ফেব্রুয়ারি এখন ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’। এ স্বীকৃতি আদায়ের জন্য কানাডা প্রবাসী সালাম ও রফিকসহ কয়েকজন বাঙালি উদ্যোগ গ্রহণ করেন। পরবর্তীকালে আওয়ামী লীগ সরকার এ বিষয়ে জাতিসংঘে প্রস্তাব উত্থাপন করে। যার ফলে ইউনেস্কো ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বের সকল ভাষাগোষ্ঠীর মাতৃভাষা সংরক্ষণ, বিকাশ ও চর্চার লক্ষ্যে আমরা ঢাকায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছি। জ্ঞানচর্চা ও পাঠচর্চা বিস্তারে গ্রন্থমেলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গ্রন্থমেলা এমন একটি মাধ্যম, যা জাতির অগ্রগতির ও উন্নয়নের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। গ্রন্থমেলা আমাদের অস্তিত্ব, জীবনবোধ এবং চেতনাকে জাগ্রত করে।

উদ্বোধনী এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান। সঞ্চালনা করেন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ, সচিব মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির (বাপুস) সভাপতি আরিফ হোসেন ছোটন।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী। সব শেষে প্রধানমন্ত্রী মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত