এসকে সিনহার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

প্রকাশ : ০৫ জানুয়ারি ২০২০, ১৪:৩৫

সাহস ডেস্ক

ফারমার্স ব্যাংক থেকে চার কোটি টাকা স্থানান্তর ও আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাসহ পলাতক ১১ আসা‌মির বিরু‌দ্ধে গ্রেপ্তারি প‌রোয়ানা জা‌রির নি‌র্দেশ দি‌য়ে‌ছেন আদালত।

রবিবার (৫ জানুয়ারি) ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ অভিযোগপত্র গ্রহণ করে এ আদেশ দেন।

গত ১০ ডিসেম্বর আদালতে এ চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের পরিচালক বেনজীর আহমেদ। এর আগে ৪ ডিসেম্বর কমিশনের সভায় ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) অনুমোদন দেয়া হয়।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক এমডি এ কে এম শামীম, সাবেক এসইভিপি (মাধ্যমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি) গাজী সালাহউদ্দিন, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. জিয়াউদ্দিন আহমেদ, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক, টাঙ্গাইলের বাসিন্দা মো. শাহজাহান, একই এলাকার নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা, রনজিৎ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী সান্ত্রী রায়।

এজাহারে বলা হয়েছে, অভিযুক্তরা প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ফারমার্স ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে দ্রুততার সঙ্গে চার কোটি টাকা ভুয়া ঋণ সৃষ্টি করে তা একই দিন পে-অর্ডারের মাধ্যমে এসকে সিনহার ব্যক্তিগত হিসাবে স্থানান্তর করেন। এরপর ২০১৬ সালের নভেম্বর থেকে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে এসকে সিনহা নগদ, চেক ও পে-অর্ডারের মাধ্যমে অন্য অ্যাকাউন্টে টাকা সরিয়ে নিয়ে তা আত্মসাৎ করেন।

তার আগে এস কে সিনহার ব্যাংক হিসাবের চার কোটি টাকা জব্দ করা হয়। ঋণ জালিয়াতির অভিযোগ তদন্ত করে এ বছরের ১০শে জুলাই এস কে সিনহাসহ ১১জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন।

২০১৭ সালে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিল সংক্রান্ত একটি মামলার আপিলের রায়কে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং সরকারের কাছ থেকে প্রচণ্ড চাপের মুখে বিচারপতি সিনহা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে যান বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রথমে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে যান। সেখানে তার আশ্রয় না পেয়ে পরে কানাডায় প্রবেশ করে রাজনৈতিক আশ্রয় চান।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত