‘শৃঙ্খলা ও চেইন অব কমান্ড বাহিনীর অন্যতম চালিকাশক্তি বিজিবি’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘শৃঙ্খলা ও চেইন অব কমান্ড বাহিনীর অন্যতম চালিকাশক্তি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। আমার আবেদন থাকবে ঊর্ধ্বতন কতৃর্পক্ষের কমান্ড মেনে চলবেন এবং শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখবেন। আর আপনাদের কোনো সমস্যা হলে সেটা দেখার জন্য আমরা তো আছিই।’

আজ ১৮ ডিসেম্বর (বুধবার) সকালে রাজধানীর পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরে বিজিবি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আনুষ্ঠানিক কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সরকার এ বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বিজিবি পুনর্গঠনের আওতায় ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ করে যাচ্ছে এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে একটি বিশ্বমানের আধুনিক সীমান্তরক্ষী বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ভিশন ২০৪১’ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।’

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি যে, আপনারা সব সময় সততার সাথে নিষ্ঠার সাথে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে আপনাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন এবং সব সময় এই বাহিনীর সুনাম ও মর্যাদা সমুন্বত রাখবেন। দেশ আজকে অর্থনৈতিকভাবে যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, সেই অগ্রযাত্রা যেন অব্যাহত থাকে।’

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘জাতির পিতার হাতে গড়া এই প্রতিষ্ঠান। অনেক ঘাত-প্রতিঘাত পার হতে হয়েছে। আগামী দিনে এই সীমান্তরক্ষী বাহিনী সারা বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মর্যাদা অর্জন করবে, সে বিশ্বাস আমার আছে।’

এর আগে বিজিবি সদস্যরা মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রীয় সালাম জানান।

কুচকাওয়াজ পরিদর্শন এবং অভিবাদন গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী। একটি সুসজ্জিত খোলা জিপে করে প্যারেড পরিদর্শনকালে বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলাম এবং প্যারেড কমান্ডার কর্নেল এ এম এম খায়রুল কবির প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।

এ ছাড়া মোটর শোভাযাত্রা হয় এবং বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ ও বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজের প্রায় ৬০০ শিক্ষার্থী ‘স্বাধীনতা ও উন্নয়নের আগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’ শীর্ষক ডিসপ্লে প্রদর্শন করে।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বিজিবি দিবস উপলক্ষে বীরত্বপূর্ণ ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বিডিআর কর্মকর্তাদের মাঝে বর্ডার গার্ড পদক-২০১৯, রাষ্ট্রপতি বর্ডার গার্ড পদক-২০১৯, বর্ডার গার্ড পদক সেবা-২০১৯ এবং রাষ্ট্রপতি বর্ডার গার্ড পদক সেবা-২০১৯ বিতরণ করেন।

প্রধানমন্ত্রী কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণকারী প্যারেড কমান্ডার এবং অন্যান্য কন্টিনজেন্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা এবং কূটনৈতিক কোরের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।