দেশে এখন প্রতি পাঁচজনে প্রায় একজন দরিদ্র: পরিকল্পনামন্ত্রী

প্রকাশ : ১৮ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৭:২১

সাহস ডেস্ক

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, ‘দেশে এখন প্রায় ২০ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে। যার অর্থ, প্রতি পাঁচজনে প্রায় একজন দরিদ্র। এই তথ্য বিশ্বব্যাংক তাদের স্ট্যান্ডার্ডে দিয়েছে।’

১৮ ডিসেম্বর (বুধবার) আন্তর্জাতিক অভিবাসন দিবস-২০১৯ উপলক্ষে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) এক ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে ডিবেট ফর বাংলাদেশ। এই প্রতিযোগিতার আয়োজনে একথা বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘এই দারিদ্র্যের সুযোগে দেশ থেকে অবৈধপথে বিদেশে পাড়ি দেওয়ার ঘটনা বাড়ছে। তবে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিগত ১০ বছর যাবত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন।’

তিনি বলেন, ‘২০০৯ সালে তিনি যখন সরকার গঠন করেন, তখন প্রায় ৪৪ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে ছিল। অর্থাৎ প্রতি দুইজনে একজন দরিদ্র ছিল। আর এই অর্থনৈতিক উন্নয়নে অন্যতম কৃতিত্বের দাবিদার এদেশের শ্রমজীবী মানুষেরা। যারা মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অমানবিক পরিবেশে কাজ করে যাচ্ছেন।’

পরিকল্পনামন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমরা শক্ত হাতে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে কাজ করছি। তবে স্বীকার করছি যে, আমাদের তরফেও কিছু ত্রুটি হচ্ছে। আইনের ফাঁক-ফোঁকর দিয়ে কিছু অনিয়ম হচ্ছে। তবে তা খুবই সামান্য।’

সভাপতির বক্তব্যে হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, ‘অভিবাসন ব্যয়, বেতন, কর্মপরিবেশ, কাজের ধরন প্রভৃতি সম্পর্কে জেনে-শুনে-বুঝে বিদেশ গেলে প্রতারিত হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে। আইন প্রয়োগের পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতা যত বেশি বাড়বে, নিরাপদ অভিবাসন তত বেশি নিশ্চিত হবে।’

কিরণ আরো বলেন, ‘২০২০ সালে পুনরায় মালয়েশিয়া, দুবাইয়ের শ্রমবাজারসহ নতুন বাজার খোলা সম্ভব হলে আশা করা যাচ্ছে, প্রবাসীদের প্রেরিত আয় ২২ বা ২৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।’

প্রতিযোগিতায় লালমাটিয়া মহিলা কলেজ দল সংসদে সরকারি দলের ভূমিকায় এবং সরকারি বাংলা কলেজ বিরোধীদলের ভূমিকায় অংশ নেয়।

‘শুধু আইনের প্রয়োগ নয়, সামাজিক সচেতনতাই পারে নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করতে’ শীর্ষক এই প্রতিযোগিতায় লালমাটিয়া মহিলা কলেজ সচেতনতার প্রতি গুরুত্ব দিয়ে তাদের বিতর্ক উপস্থাপন করে বিজয়ী দল হিসেবে নির্বাচিত হয়। অন্যদিকে সরকারি বাংলা কলেজ দল আইন প্রয়োগের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে তাদের বিতর্ক উপস্থাপন করে রানার্স আপ নির্বাচিত হয়।

অনুষ্ঠান শেষে চ্যাম্পিয়ন এবং রানার্স আপ দলের সদস্যদের মাঝে ট্রাফিক ক্রেস্ট এবং সনদপত্র প্রদান করা হয়।

সংগঠনটির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। এসময় প্রথম পর্বে নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিতে আইনের প্রয়োগ এবং সচেতনতার গুরুত্ব নিয়ে বিতর্কে অংশ নেন প্রতিযোগীরা।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত