বাড়াবাড়ির একটা সীমা আছে: প্রধান বিচারপতি

প্রকাশ : ০৫ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৭:০৩

সাহস ডেস্ক

বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, বাড়াবাড়ির একটা সীমা আছে। আমরা আপিল বিভাগে এমন অবস্থা আগে কখনো দেখিনি। অর্ডার দেওয়া হয়ে গেছে। এজলাসে বসে আদালতের পরিবেশ নষ্ট করবেন না।

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতি সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কোর্টরুমে ফিরে আসার পরে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের উদ্দেশে একথা বলেন।

এসময় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন আদালত কক্ষে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির ঘটনাকে ‘নজিরবিহীন’ বলে অভিহিত করেন।

খালেদা জিয়ার মেডিক্যাল বোর্ডের প্রতিবেদন দাখিলের কথা থাকলেও আজ বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগে দাখিল হয়নি। এটিসহ দুটি প্রতিবেদন কোনো ধরনের ব্যর্থতা ছাড়াই ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে দাখিল করতে সকালে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। ১২ ডিসেম্বর বিষয়টি আদালতের কার্যতালিকায় আসবে। এই শুনানি চলাকালেই রাষ্ট্রপক্ষ ও খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের মধ্যে হইচই হয়। হইচইয়ের মধ্যেই আদালত আদেশ দেন।

একপর্যায়ে খালেদা জিয়ার পক্ষের আইনজীবী জয়নুল আবেদীন দাঁড়ান। এ সময় আদালত বলেন, তারা আপিল বিভাগে এমন অবস্থা আগে কখনো দেখেননি। খালেদা জিয়ার অপর আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, আমি শেষবারের মতো কথা বলতে চাই। আদালত বলেন, আমরা আদেশ দিয়েছি। আর কোনো কথা শুনব না।

খালেদা জিয়ার আরেক আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন শুনানির তারিখ এগিয়ে আনার আরজি জানান। আদালত বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বৃহস্পতিবার শুনব।

এ সময় খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা তুমুল হইচই করেন। বিশৃঙ্খলা চলাকালীন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা বিচারকদেরে উদ্দেশ্য করে “লজ্জা লজ্জা” বলে চিৎকার করছিলেন। এসময় প্রধান বিচারপতি বলেন, এই আদালত দলিল ও প্রমাণাদি নিয়ে আদেশ দেয়। কে কী বলবে তা বিবেচ্য নয়।

পরে ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন অপর একটি মামলার যুক্তিতর্ক আদালতে উপস্থাপন করেন। এসময় পুনরায় বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা স্লোগান দিতে শুরু করে সেখানে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। দুপুর সোয়া ১২টার বিচারকগণ পুনরায় বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ করে দেন। আদালতের কার্যক্রমের সময় শেষ হয়ে গেলে বিচারপতিরা বেলা সোয়া একটায় আদালত কক্ষ ত্যাগ করেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত