বঙ্গবন্ধুর রক্তের ঋণ কি করে শোধ করব: উপাচার্য

প্রকাশ | ২০ আগস্ট ২০১৯, ১৭:৩৯ | আপডেট: ২০ আগস্ট ২০১৯, ১৭:৪৩

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ বলেছেন, ‘ঘাতকের নির্মম বুলেটে বঙ্গবন্ধুর বুকের যে তাজা রক্ত বাংলার জমিনে পড়েছে তার ঋণ কি করে আমরা শোধ করব? কোনোদিন শোধ হবে না। শোধ করা যাবেও না। এটা কখনোই সম্ভব নয়। কারণ জাতির পিতা যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তা কারো পক্ষেই সম্ভব নয়।’

২০ আগস্ট (মঙ্গলবার) গাজীপুরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকীর আলোচনা সভায় এ সব কথা বলেন উপাচার্য।

উপাচার্য বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন কোনো বাঙালি তো আমাকে হত্যা করতে পারে না। যারা স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি, যারা বুঝে গিয়েছিল কোনোদিন নির্বাচনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে পরাজিত করা সম্ভব নয়, তারাই দেশি-বিদেশি নীলনকশার অংশ হিসেবে নির্মমভাবে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছে।’

তিনি বলেন, ‘ষড়যন্ত্রকারীরা শুধু একটি পরিবার এবং ব্যক্তিকে হত্যা করতে চায়নি। তারা একটি আদর্শকে হত্যা করতে চেয়েছিল। কিন্তু আদর্শকে তারা হত্যা করতে পারেনি। কারণ সততা এবং আদর্শই শক্তি। কোনো ব্যক্তি সততা এবং আদর্শের মধ্যে থাকলে তাকে কেউ পরাস্ত করতে পারে না।’

উপাচার্য আরো বলেন, ‘মা যেমন তার সন্তানকে বুকে আগলে রাখেন। ঠিক তেমনি মাতৃত্বের অনুভূতি দিয়ে এই ভূখণ্ডকে বুকে ধারণ করেছেন বঙ্গবন্ধু। যার কোনো আত্মপরিচয় ছিল না, সেই জাতিকে তিনি স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ-আল-হোসেনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান, স্নাতকোত্তর শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের ডিন প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন, স্নাতকপূর্ব শিক্ষাবিষয়ক স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. নাসির উদ্দিন, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বদরুজ্জামান।

আলোচনা সভা শেষে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের রূহের মাগফিরাত কামনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।