চামড়ার বাজার মন্দা, মৌসুমী ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত

প্রকাশ : ২৬ আগস্ট ২০১৮, ১৬:৫৫

তপু আহম্মেদ

গত কয়েক বছরের তুলনায় এবারও কোরবানির পশুর চামড়ার বাজারে মন্দাভাব বিরাজ করছে টাঙ্গাইলে। এক প্রকার পানির দামে বিক্রি হচ্ছে গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়ার চামড়া। ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা থেকে কম দামে কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহ করলেও পাইকার ও আড়তদারদের কাছে সেই দামেও বিক্রি করতে পারছেন না। ফলে ক্ষতি গুনতে গিয়ে পথে বসার অবস্থা হয়েছে তাদের।

জানা গেছে, টাঙ্গাইল শহরে ১৫টি, কালিহাতী উপজেলার বল্লায় ১৪টি, এলেঙ্গায় ৬টি চামড়ার আড়ত রয়েছে। টাঙ্গাইলে গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া ইত্যাদি পশুর চামড়ার সবচেয়ে বড় হাট ঘাটাইলের পাকুটিয়া। প্রতি রবিবার ভোর ৬টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত সারা বছর সেখানে চামড়ার হাট বসে। এ হাটে টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোনা ও সিরাজগঞ্জ জেলার ব্যবসায়ীরা চামড়া বিকিকিনি করেন।

সরেজমিনে রবিবার পাকুটিয়া চামড়ার হাটে দেখা যায়, জেলার বৃহত্তর এ চামড়ার হাটে ঋষি, ফরিয়া ও ছোট ব্যবসায়ীদের মধ্যে চামড়া বিকিকিনি চলছে। হাটে আড়তদার ও ট্যানারির কোন প্রতিনিধিকে দেখা যায়নি। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন খুচরা বিক্রেতারা।

জেলার মৌসুমী ব্যবসায়ীরা জানায়, এক লাখ থেকে ওপরে কেনা দামের ষাঁড়ের চামড়া গ্রাম-পাড়া ও মহল্লা থেকে সর্বোচ্চ ৯০০ টাকা দিয়ে কিনেছেন। এর কমে কেনা ষাঁড়ের চামড়া কিনেছেন প্রতি পিস ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায়। ছাগলের চামড়া প্রতি পিস ৩০ থেকে সর্বোচ্চ ৫০ টাকা দামে কিনেছেন। 

এলেঙ্গার চামড়া ব্যবসায়ী হুমায়ুন কবির জানান, তিনি ৪০০ পিস গরু ও ৫৫০ পিস ছাগলের চামড়া কিনে লবন মেখে হাটে এনেছেন। কিন্তু বড় কোন পাইকার ক্রেতা তার চামড়া দেখতে আসেনি। বিক্রি না হলে আবারও লবন মেখে রোদে শুকিয়ে প্রাথমিক প্রক্রিয়াজাত করে মাস খানেক পর আড়তদার বা ঢাকায় ট্যানারিতে বিক্রি করবেন। 

উল্লেখ্য, এবার সরকারিভাবে কোরবানির গরুর চামড়া প্রতি বর্গফুট ঢাকায় ৫০ থেকে ৫৫ টাকা ও ঢাকার বাইরে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া সারাদেশে খাসির চামড়া প্রতি বর্গফুট ২০ থেকে ২২ টাকা ও বকরির চামড়া ১৫ থেকে ১৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

সাহস২৪.কম/রিয়াজ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত