সারা ফেলেছে টাঙ্গাইলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পুষ্টি বাগান

প্রকাশ : ০৭ জুন ২০২৪, ১৪:১৯

বাসস থেকে সংগৃহীত
বাসস থেকে সংগৃহীত ছবি

জেলার নাগরপুর উপজেলায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রকল্পের আওতায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শুরু হয়েছে পুষ্টি বাগান কার্যক্রম। এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে নাগরপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের ক্যাম্পাসের পতিত জমিতে সরকারী উদ্যোগে ভার্মি কম্পোস্ট সার তৈরী ও বিভিন্ন প্রজাতির সবজি চাষ শুরু করা হয়েছে। যা ব্যাপক সারা ফেলেছে পুরো উপজেলায়। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় মুজিব শতবর্ষে বঙ্গবন্ধু কৃষি উৎসব উপলক্ষে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ‘অনাবাদি পতিত জমি ও বসত বাড়ির আঙ্গিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন’ প্রকল্পের আওতায় নাগরপুরের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পুষ্টি বাগান স্থাপন কার্যক্রম শুরু করেছে উপজেলা কৃষি অফিস। এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে নাগরপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের ক্যাম্পাসের পতিত জমিতে সরকারী উদ্যোগে ভার্মি কম্পোস্ট সার তৈরী ও বিভিন্ন প্রজাতির শাক-সবজি চাষ শুরু করা হয়েছে। 

এজন্য কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে কেচো ও শাক-সবজির বীজ সরবরাহ করা হয়। ক্যাম্পাসের পতিত জমিতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরাই ভার্মি কম্পোস্ট সার তৈরী ও নানা প্রজাতির শাক-সবজির চাষ করছে। এতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে চাষাবাদের আগ্রহ তৈরী হচ্ছে। শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের পরামর্শ দিচ্ছেন পারিবারিক পুষ্টি চাহিদা পুরণে নিজ নিজ বাড়ির পরিত্যাক্ত ও অনাবাদি জমিতে শাক-সবজি চাষ করার জন্য। শিক্ষার্থীরাও পরিবারের লোকজনের সহায়তায় নিজ নিজ বাড়িতে গড়ে তুলেছে পারিবারিক পুষ্টি বাগান। 

টেকনিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান বলেন, ক্লাস শুরুর আগে ও ছুটির পর ভার্মি কম্পোস্ট সার প্রজেক্ট ও নানা প্রজাতির শাক-সবজির জমিতে শিক্ষার্থীরা কাজ করছে। এতে পড়ালেখার পাশাপাশি তাদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষনও হচ্ছে। যা তাদের পাঠ্য বই কৃষি শিক্ষায় অগ্রগতি হচ্ছে। 

নাগরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসাইন বলেন, এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ‘পুষ্টি বাগান স্থাপন’ প্রকল্প দেখে ইতিমধ্যে উপজেলার অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পুষ্টি বাগান গড়ে তুলেছেন। উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায় উপজেলার প্রতিটি স্কুল ও কলেজকে পর্যায়ক্রমে এ প্রকল্পের আওতায় আনা হবে। নাগরপুরের মতো জেলার প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পুষ্টি বাগান স্থাপন কর্মসুচী বাস্তবায়ন করা গেলে ঘাটতি পুরণ হবে পুষ্টি চাহিদার। একইসাথে বাস্তবায়ন হবে প্রধানমন্ত্রীর নিদের্শনা ‘এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদী রাখা যাবে না’।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত