নওগাঁয় কালবৈশাখী ও শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

প্রকাশ : ৩০ এপ্রিল ২০২২, ১৯:২২

সাহস ডেস্ক

নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলায় কালবৈশাখী ও বৃষ্টিতে ইরি বোরো ধানসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) রাতে দীর্ঘ সময় ধরে উপজেলার অধিকাংশ এলাকায় কালবৈশাখী হয়। ঝড়ের প্রভাবে বৈদ্যুতিক পোল ভেঙে পুরো উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহে বিপর্যয় ঘটে। আধাপাকা ধান পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, প্রচণ্ড ঝড়ের কারণে উপজেলার হাজারো গাছপালা উপড়ে পড়ে। এ ছাড়া রাস্তাঘাটের ও ব্যক্তিমালিকানা বাগানে শত শত গাছ পড়ে যায়। তীব্র ঝড়ের সাথে প্রবল বর্ষণের কারণে হাজার হাজার হেক্টর জমির ধান মাটিতে শুয়ে পড়েছে। জিরাশাইল জাতের আধাপাকা ধান বেশি পড়ে গেছে।

হাটনগর গ্রামের কৃষক মজিদ মিয়া বলেন , “আমার প্রায় আড়াই একর জমির আধাপাকা জিরাশাইল ধান মাটিতে পড়ে গেছে। এতে নিশ্চিতভাবে ফলন কম হবে। তাছাড়া আবারও যদি বৃষ্টি হয় তাহলে ধান থেকে বীজ অঙ্কুরিত হবে।” 

মইশড় গ্রামের কৃষক মাসুদ বলেন, “আকস্মিক এ ঝড়ের কারণে প্রায় ২০ একর জমির ধানের ক্ষতি হয়েছে। শেষ মুহূর্তে এসে ধানগাছ ঝড়ের কারণে মাটিতে নুয়ে পড়ায় মারাত্মক ক্ষতি হবে। ধানের পাশাপাশি আম, লিচু, কলা, ভুট্টাসহ বিভিন্ন ধরনের ফসলের ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে আমগাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে আম ঝরে গেছে। অনেক গাছ ভেঙে গেছে এবং মাটির ঘরের টিনের ছাউনি উড়ে গেছে। নিচু এলাকার আধাপাকা ইরি বোরো ধান পানিতে তলিয়ে যায়। ঝড়বৃষ্টির কারণে বিদ্যুতের তারের ওপর গাছ পড়ে এবং বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের পাঁচটি খুঁটি ভেঙে উপজেলার অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুৎবিহীন অবস্থা বিরাজ করছে। ২৪ ঘণ্টা ধরে কোনো কোনো এলাকায় বিদ্যুৎ নেই।”

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. তৌফিক আল জুবায়ের বলেন, এবার এ উপজেলায় ১৮ হাজার ৩২০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে। এর মধ্যে শুক্রবার রাতের ঝড়ে প্রায় এক হাজার ৮৩২ হেক্টর জমির ধান আংশিক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া আম-লিচু ৬৭৫ হেক্টর জমির বাগানের ক্ষতি হয়েছে। আগামী দুই-তিন দিন বৃষ্টি না হলে ধানের ক্ষতির পরিমাণ থাকবে না। যেসব ধান পড়ে গেছে সেগুলো থোরা করে বেঁধে দেওয়ার জন্য কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।

সাহস২৪.কম/এবি.

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত