পুকুরে চুন প্রয়োগের সঠিক নিয়ম জেনে নিন

প্রকাশ : ৩০ এপ্রিল ২০২২, ১৯:১৭

সাহস ডেস্ক

আমাদের দেশে মাছ চাষের পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে। বেকার সমস্যা দূর করার পাশাপাশি মাছ চাষে দেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর আমিষের চাহিদাও পূরণ হচ্ছে। মাছ প্রাণিজ আমিষের অন্যতম উৎস। কর্মসংস্থান, বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন এবং পুষ্টি সরবরাহে মৎস্য সম্পদের অসামান্য ভূমিকা রয়েছে।

মাছ চাষের বিভিন্ন পদ্ধতি আছে। যেমন, একই পুকুর, ডোবায় বা চৌবাচ্চাতেও বিভিন্ন জাতের মাছ চাষ করা যায়। মাছ চাষের আগে পুকুরের মাটি-পানি অম্ল ও দূষণমুক্ত করা জরুরি। এ জন্য পুকুরে চুন প্রয়োগ করতে হয়। এটি মাছের রোগ-জীবাণু ও পরজীবী ধ্বংস করতে সাহায্য করে। অন্যদিকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও পানিতে ক্যালসিয়াম বাড়াতে তথা পুকুরের উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর জন্য চুন প্রয়োগ করা জরুরি। তবে চুন প্রয়োগের আগে জেনে নিতে হবে এর প্রয়োগ সম্পর্কে। চুন প্রয়োগের আগে পুকুরের মাটি-পানি অম্ল ও দূষণমুক্ত করতে হবে। মাছের রোগ জীবাণু ও পরজীবী ধ্বংস করতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও পানিতে ক্যালসিয়াম বাড়াতে হবে। অন্যদিকে পুকুরের উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর জন্য চুন প্রয়োগ আবশ্যক। পুকুরের মাটি ও পানির গুণাগুণের ওপর চুনের সঠিক মাত্রা নির্ভরশীল। সাধারণত পুকুরের তলদেশে শুকনা অবস্থায় পাথুরে চুন গুঁড়া করে শতাংশ প্রতি ১ কেজি হারে পুরোপুকুরে ছিটিয়ে দিতে হবে।

তবে অম্ল­মান ৪ হলে ১০ কেজি, ৪.৫ হলে ৫ কেজি, ৫.৫ হলে ৩ কেজি, ৬.৫ হলে ২ কেজি প্রতি শতাংশে প্রয়োগ করতে হয়। চুন প্রয়োগের ২-৩ দিন পর পুকুরে পানি সরবরাহ করতে হবে। পানি শুকানো না হলে পানি ভর্তি পুকুরে একই হারে চুন পানিতে গুলে পুরো পুকুরে ঢালু পাড়সহ ছিটিয়ে দিতে হবে। কারণ পুকুরের পাশে অনেক ধরনের পোকামাকড় থাকে সেগুলো মারা যাবে। তবে চুন দেওয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে যাতে চুনটা চোখে মুখে না লাগে। সেই জন্য সতর্ক থাকতে হবে। টিনের ড্রাম বা সিমেন্টের চারি বা পুকুরের পাশেই গর্ত করে ভিজিয়ে রাখতে হবে। যে পাত্রে ভেজাবেন সেই পাত্রে একটা চটের বস্তা মুখের উপর দিয়ে দিতে হবে। কারণ যে সেই চুনটা মুখে না লাগে।

সাহস২৪.কম/এবি.

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত