টবে আঙুর চাষ পদ্ধতি
প্রকাশ | ২৯ মার্চ ২০২১, ১৩:১৩ | আপডেট: ২৯ মার্চ ২০২১, ১৬:১৫
অনলাইন ডেস্ক
আঙুর বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় ফল। কিন্তু এর চাষাবাদ তেমন বিস্তৃত নয়। ইচ্ছে করলেই আপনি আপনার বাড়ির ছাদে এ ফলের চাষ করতে পারেন।
টব ও মাটি প্রস্তুতকরণ :
টবে আঙুর চাষের জন্য কমপক্ষে ১২ ইঞ্চির টব সংগ্রহ করতে হবে। আর মাটি তৈরির ক্ষেত্রে ২ ভাগ নদীর বলি মাটি, ২ ভাগ জৈবসার, ১ ভাগ মাটি ও ১ ভাগ কোকোপেট বা গাছের গুড়া বা ধানের তুষ এক সাথে ভাল করে মিশিয়ে নিন। এখন টবে আপনার আঙুর গাছটি লাগিয়ে দিয়ে ভাল করে পানি দিয়ে দিন।
অন্যন্য পরিচনর্যা :
আঙুর গাছ অবশ্যই রোদে রাখতে হবে। গাছে নিয়মিত পানি দিতে হবে। কিন্তু গাছের গোড়ায় কোন ভাবে পানি জমে থাকতে দেয়া যাবে না আবার টবের মাটি শুঁকাতে দেয়া যাবে না। সার দেয়ার ক্ষেত্রে ১২ ইঞ্চি টবের জন্য আড়াই চামচ পটাশ, ২ চামচ ইউরিয়া, ২ চামচ ফসফেট একসাথে মিশিয়ে এর থেকে আড়াই চামচ নিয়ে প্রত্যেক ২০ দিন পর পর প্রয়োগ করতে হবে। অন্যভাবে দিতে চাইলে ১ মুটো সরিষার খৈল, ২ চামচ হাড় গুড়ো এবং ১ চামচ পটাশ একসাথে মিশিয়ে প্রতি মাসে একবার করে প্রয়োগ করতে হবে।
যেহেতু আঙুর গাছ লতা জাতীয় গাছ তাই উদ্ভিদ একটু বড় হলেই এটাকে সঠিক ভাবে বাড়ার জন্য মাচা করে দিতে হবে। শীতকাল আসলেই আঙুর গাছের সব পাতা ঝরে যায় এ সময় গাছটিকে দেখলে মনে হবে যেন গাছটি মরে গেছে। কিন্তু বসন্ত শুরু হওয়ার পর আঙুর গাছে ফুল-ফল ধরতে শুরু করে। এজন্য প্রতিবার গাছের ফল সংগ্রহের পর গাছ সঠিক ভাবে ছাটাই করতে হবে।
রোগবালাই :
রোগাবালাই এর জন্য এম৪৫ বা সাফ বা ব্লাইটক্স ১ লিটার পানিতে ১ চামচ দিয়ে প্রত্যেক সপ্তাহে একবার করে স্প্রে করা যায় তবে তেমন রোগবালাই আসার সম্ভাবনা নাই। আর পোকার মধ্যে মিলিবাগের জন্য ইমিডাক্লোরোপ্রিড জাতীয় কীটনাশক ( যেমন এডমায়ার অথবা টিডো) প্রয়োগ করতে হবে। থ্রিপস এর জন্য ডাইমথয়েড কীটনাশক দিতে হবে। আর মাইটস/মাকড় এর জন্য ভার্মিটেক/ওমাইট/থিয়াভিট স্প্রে করতে হবে।