মাছ চাষের উপযুক্ত সময় ফাল্গুন

প্রকাশ | ০১ মার্চ ২০২১, ১৩:৪৭ | আপডেট: ০১ মার্চ ২০২১, ১৩:৫৫

অনলাইন ডেস্ক

চৈত্র বাংলা বছরের শেষ মাস। কৃষির কাজের উপযুক্ত সময়। কিন্তু চারদিকে করোনাভাইরাসের ভয়। ঘর থেকে বের হওয়াও ঝুঁকিপূর্ণ। এমন অবস্থায় ঘরের সঙ্গে থাকা পুকুরে করতে পারেন মাছ চাষ। এ সময় রুই জাতীয় মাছের পোনা আঁতুড় পুকুরে ছাড়ার উপযুক্ত সময়।

সুপ্রিয় পাঠক,মাছ চাষের জন্য পুকুর তৈরি ও সংস্কার করার উপযুক্ত সময় এখন;পুকুরের পানি শুকিয়ে গেলে নিচ থেকে পচা কাদা তুলে ফেলতে হবে এবং শতাংশপ্রতি ১ কেজি চুন ও ১০ কেজি গোবর বা কম্পোস্ট সার প্রয়োগ করতে হবে;পানিভর্তি পুকুরে প্রতি শতাংশে ৬ ফুট পানির জন্য ১ কেজি চুন গুলে ঠাণ্ডা করে দিতে হবে। এছাড়া শতাংশপ্রতি ১০ কেজি গোবর, ২০০ গ্রাম ইউরিয়া ও ১০০ গ্রাম টিএসপি একসাথে মিশিয়ে পানিভর্তি পুকুরে দিতে হবে; 

তাই এখনো আঁতুড় পুকুর তৈরি না হয়ে থাকলে, তা করার ব্যবস্থা করতে হবে। এ জন্য পুকুরের পানি শুকিয়ে গেলে নিচ থেকে পচা কাদা তুলে ফেলতে হবে। কাদা তোলা হলে শতাংশপ্রতি ১ কেজি চুন প্রয়োগ করতে হবে।

চুন দেওয়ার ১০-১৫ দিন পর পুকুরে শতাংশপ্রতি ১০ কেজি গোবর বা কম্পোস্ট সার দিতে হবে। রেণু পোনা ছাড়ার অন্তত ১৫ দিন আগে আঁতুড় পুকুরে ১-দেড় মিটার পানি জমিয়ে রাখতে হবে। আঁতুড় পুকুর তৈরি হলে মৎস্য কর্মকর্তার সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে।

পরামর্শ অনুযায়ী, আঁতুড় পুকুরে ঘন মশারির জাল টেনে কেরোসিন ও ডিজেল পরিমাণমতো ব্যবহার করতে হবে। এতে ব্যাঙাচি ও অন্যান্য জলজ পোকা মরে যাবে। পোকাগুলো মরে গেলে পানিভর্তি পুকুরে প্রতি শতাংশে ৬ ফুট পানির জন্য ১ কেজি চুন গুলে ঠান্ডা করে দিতে হবে।

রেণু পোনা মাটির পাত্রে বহন না করে পলিথিন ব্যাগে অক্সিজেন গ্যাস দিয়ে বহন করতে হবে। রেণু পোনা আঁতুড় পুকুরে সরাসরি না ছেড়ে সংগৃহীত রেণু পোনাগুলোকে পুকুরের পানির নতুন পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা দরকার।

খাপ খাওয়ানোর পর রেণু ছাড়ার তৃতীয় দিন থেকে আঁতুড় পুকুরে পরিপূরক খাবার সরবরাহ করা দরকার। পাশাপাশি পুকুরের যত্ন নিতে হবে। মাছের খোঁজ-খবর রাখতে হবে। প্রয়োজনে স্থানীয় মৎস্য কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।

শীতের পর এ সময় মাছের বাড়বাড়তি দ্রুত হয়। তাই পুকুরে প্রয়োজনীয় খাবার দিতে হবে এবং জাল টেনে মাছের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে।

মাছ চাষের বিস্তারিত ও তথ্যবহুল বিশ্লেষণের জন্য আপনার কাছের কৃষিবিশেষজ্ঞ, মৎস্যবিশেষজ্ঞ ও প্রাণিসম্পদ বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করে জেনে নিতে হবে।  আপনাদের সবার জন্য শুভ কামনা।