পদ্মাসেতু প্রকল্প এলাকায় হবে সাত হাজার গবাদি পশুর ডেইরী ফার্ম

প্রকাশ : ২৪ অক্টোবর ২০১৯, ১২:০৭

সাহস ডেস্ক

পদ্মাসেতু প্রকল্প এলাকায় কম্পোজিট মিলিটারি ফার্ম স্থাপনের জন্য ২ হাজার ১৫৮ দশমিক ৫৩ একর জমি সেনাবাহিনীকে দেয়া হয়েছে। এই প্রকল্পে প্রায় সাত হাজার প্রাণীর একটি ডেইরী ফার্ম স্থাপনের মাধ্যমে প্রতিদিন পঞ্চাশ হাজার থেকে ষাট হাজার লিটার দুগ্ধ উঁঁৎপাদন করা হবে।

গরুর ফার্ম স্থাপনের মাধ্যমে প্রতিবছর প্রায় পাঁচলাখ চল্লিশ হাজার কেজি গরুর মাংস উৎপাদিত হবে। কম্পোজিট মিলিটারি ফার্মে একটি অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরি স্থাপন করে ষাঁড়, গরু, ষাঁড় মহিষ এবং পুরুষ ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের সীমেন কৃত্রিম উপায়ে সংগ্রহ করে ফ্রোজেন করা হবে যা পরবর্তীতে অন্যান্য মিলিটারি ফার্ম এবং বাংলাদেশের কৃষক ও খামারীদের নিকট সম্ভাব্য স্বল্প মূল্যে সরবরাহ করা হবে।

এই প্রকল্প বাস্তবায়নে বুধবার রাজধানীর বনানীর সেতু ভবনে সেতু কর্তৃপক্ষ এবং সেনা বাহিনীর মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়। সমঝোতা স্মারকে সেতু কর্তৃপক্ষের পক্ষে পরিচালক (প্রশাসন) মোঃ রেজাউল হায়দার এবং সেনাবাহিনীর পক্ষে এম এন্ড কিউ পরিদপ্তরের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মামুন অর রশিদ নিজ নিজ পক্ষে স্বাক্ষর করেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সেতু বিভাগের সিনিয়র সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোঃ শফিকুল ইসলাম, সেতু কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী মোঃ ফেরদাউস, ঢাকা আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোঃ শাহাবুদ্দিন খান সহ সেতু বিভাগ ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।

চুক্তি স্বাক্ষর শেষে সড়ক ও সেতু মন্ত্রী বলেন, পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের অব্যবহৃত জমিতে একটি কম্পোজিট মিলিটারি ফার্ম স্থাপনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ এবং বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের ৫, ৬, ১২ এবং ১৩ নং ব্লকে সর্বমোট ২১৫৮.৫৩ একর জমি ব্যবহার অধিকার হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করার পর (প্রাথমিকভাবে ১২ এবং ১৩ নং ব্লক) তাতে একটি কম্পোজিট মিলিটারি ফার্ম পর্যায়ক্রমে স্থাপন করা হবে।

উক্ত প্রকল্পে প্রায় সাত হাজার প্রাণীর একটি ডেইরী ফার্ম স্থাপনের মাধ্যমে প্রতিদিন আনুমানিক পঞ্চাশ হাজার থেকে ষাট হাজার লিটার দুগ্ধ উঁঁৎপাদন করা হবে। সার্বিকভাবে ডেইরীফার্ম, বীফফার্ম, ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলফার্ম, মহিষফার্ম এবং ব্রীডিং সেন্টার স্থাপনের মাধ্যমে মান সম্মত দুগ্ধ ও মাংস উৎপাদন করা সম্ভব হবে। ফার্মটি স্থাপিত হলে স্থানীয় জনগণের কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে বেকার সমস্যা দূরীকরণ এবং সর্বোপরি জাতীয় উৎপাদনে অংশ গ্রহণ ও অবদান রাখা সম্ভব হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত